আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৪:৩২

ভারতে বেড়েই চলেছে করোনার সংক্রমন, একদিনে শনাক্ত সোয়া লাখ

দৈনিক করোনা সংক্রমণে এবার সোয়া লাখ ছাড়িয়ে গেল ভারত। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে সোমবার প্রথমবারের জন্য আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছিল ১ লাখ। মঙ্গলবার তা একটু কমেছিল। বুধবার হয়েছিল ১ লাখ ১৫ হাজার, আর বৃহস্পতিবারে ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৮৯ জন।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, দেশটিতে একদিনে আক্রান্তের নিরিখে এই সংখ্যা এখনো অবধি সর্বোচ্চ।

আক্রান্ত বৃদ্ধির জেরে ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পেয়ে পেরিয়ে গেল ৯ লাখের গণ্ডি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ১০ হাজার ৩১৯। মোট শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৬১ জন।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৯০৭ জন। সে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি খারাপ হচ্ছে মুম্বাইয়ের অবস্থা। দৈনিক মৃত্যুও ওই রাজ্যে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৩২২ জনের। ভারতের মোট সক্রিয় রোগীর অর্ধেকেরও বেশি শুধু মহারাষ্ট্রেই।

পাশাপাশি কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলোর পরিস্থিতিরও অবনতি হচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছত্তিশগড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩১০ জন। করোনার প্রথম পর্বেও এত খারাপ পরিস্থিতি ছিল না এই রাজ্যে।

কর্ণাটকেও দিন দিন অবনতি হচ্ছে করোনা পরিস্থিতির। একই অবস্থা রাজধানী দিল্লিতেও। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন আক্রান্ত ৫ হাজার ৫০৬ জন। এ বছরে যা এখনো অবধি সর্বোচ্চ। উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজারের বেশি। মধ্যপ্রদেশেও কভিড পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। সেখানে দৈনিক আক্রান্ত ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। তামিলনাড়ুতেও তা প্রায় ৪ হাজার, গুজরাট এবং কেরালায় সাড়ে ৩ হাজার। গত ক’দিনে তেলঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানাতে বেড়েছে দৈনিক আক্রান্ত। ওই রাজ্যগুলো বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্ত আড়াই হাজারের আশপাশে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ডে দৈনিক আক্রান্ত এক হাজার ছাড়িয়েছে। হাজারের কম হলেও ওডিশা, গোয়া, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশেও দৈনিক আক্রান্ত বাড়ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৬৮৫ জনের। এ নিয়ে করোনাভাইরাস মোট প্রাণ কাড়ল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬২ জনের।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত