সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ জুলাই, ২০২১ ২০:২৫

মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত কমেনি

টানা পাঁচ দিন করোনায় মৃত্যু ছিল দুই শর বেশি। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার তা সেখান থেকে কমে ১৮৭ হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে শনাক্তের পরিমাণ কমেনি সেভাবে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ১৪৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানানো হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যাটি ছিল ১২ হাজার ২৩৬ জন।

গত ১১ জুন প্রথমবারের মতো ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা দুই শ ছাড়ায়। সেদিন মৃত্যু হয় ২৩০ জনের। এরপর তা দুইশর কোটা পার হয়নি। পরের চার দিন মৃত্যু ছিল যথাক্রমে ২২০, ২০৩, ২১০ আর সবশেষ বৃহস্পতিবার ২২৬ জন। সেই হিসাবে আগের দিনের তুলনায় শুক্রবার মৃত্যু কম হয়েছে ২৯ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টা মিলিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৫ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১১৩ জন ও নারী ৭৪ জন। এর মধ্যে দুই শিশু রয়েছে।

বাকিদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ৭, ত্রিশোর্ধ্ব ১১, চল্লিশোর্ধ্ব ৩০, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩৬ ও ষাটোর্ধ্ব ৫৪ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৩০, আশির্ধ্ব ১২, নব্বোর্ধ্ব ৪ এবং ১০০ বছরের বেশি রয়েছেন একজন।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়। এরপরই রয়েছে খুলনা বিভাগ, ৩৯ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৩৬ জন, রাজশাহীতে ১৪, বরিশালে ৮, সিলেটে ৯, রংপুরে ৬ ও ময়মনসিংহে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৬২৭টি ল্যাবে করোনার ৪১ হাজার ৯৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। সার্বিক শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ০৮ শতাংশ।

দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৯২২ জনের শরীরে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৮ হাজার ৫৩৬ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৩ জন। সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে ভারতীয় ধরণ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এই সেই ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তদের দ্রুত অসুস্থ করে দেয়, তাদের অক্সিজেন লাগে বেশি। ছড়ায়ও দ্রুত, তাই মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।

এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মধ্যে আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে চলমান শাটডাউন শিথিল করেছে সরকার। শর্ত সাপেক্ষে চালু করা হয়েছে বাসসহ গণপরিবহন। খোলা হয়েছে দোকানপাট।

যদিও বুধবার করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি শাটডাউন শিথিলে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে লকডাউন ১৪ দিন বাড়ানো উচিত ছিল। যদিও সরকার ঈদের পর আবারও দুই সপ্তাহের শাটডাউনে যাবে।

সরকার ঈদ উপলক্ষে বিধিনিষেধ শিথিল করার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপে আর গরুর হাটে মাস্ক পড়া বা ভিড় এড়িয়ে চলার যে পরামর্শ সেটি উপেক্ষিত হচ্ছে, সেটি বলাই যায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত