আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, টিকা নিয়ে কেউ বাংলাদেশে এলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। কিন্তু টিকা নেয়া না থাকলে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক। তবে এ নিয়মের বাইরে থাকছে ১৩টি দেশ।

গত শনিবার রাতে জারি করা এক সার্কুলারে এ তথ্য জানায় বেবিচক।

বেবিচকের সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মো. জিয়াউল কবীর স্বাক্ষরিত নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শিথিলতার বাইরে থাকবে ১৩টি দেশ। এগুলো হলো আর্মেনিয়া, বুলগেরিয়া, এস্তোনিয়া, জর্জিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মলদোভা, মঙ্গোলিয়া, ফিলিস্তিন, রোমানিয়া, সার্বিয়া, স্লোভেনিয়া ও ইউক্রেন। এসব দেশ থেকে টিকা নিয়ে এলেও সাতদিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আর টিকা নেয়া না থাকলে এক সপ্তাহ নিজ খরচে সরকার অনুমোদিত হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

বেবিচকের সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আসতে অবশ্যই আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। আর পরীক্ষা করাতে হবে ফ্লাইটে ওঠার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। তবে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয়। ১৮ বছরের কম বয়সীরা টিকা না নিলেও টিকা নেয়া পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশে আসতে পারবে।

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়া ফ্লাইটের যাত্রী ধারণের বিষয়েও বিধিনিষেধে পরিবর্তন এসেছে। এখন থেকে মাঝারি আকারের উড়োজাহাজে যাত্রী নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না। সুপরিসর উড়োজাহাজে বহন করা যাবে সর্বোচ্চ ২৮০ জন যাত্রী। তবে বোয়িং ট্রিপল সেভেন ও সেভেন ফোর সেভেন উড়োজাহাজে যাত্রী সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৫০। বাংলাদেশে আসা মাঝারি আকারের উড়োজাহাজে বহন করা যাবে সর্বোচ্চ ১৪০ জন যাত্রী। আর সুপরিসর উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে বহন করা যাবে ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ ৮০ ভাগ যাত্রী।

বেবিচক জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। নতুন নিয়ম চালুর ফলে গত ১৬ আগস্ট জারি করা নির্দেশনা বাতিল হয়েছে।