সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:০২

করোনায় আরও ‍১৭ মৃত্যু

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ সময়ে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৫২৭ জনের দেহে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুধবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৯ হাজার ৭৩টি। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১.৬৪ শতাংশ।

দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৫২৪ জনের দেহে। ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ২৭৩ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা রেকর্ডের কাছাকাছি। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৯ হাজার ৭৩টি।

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে গত বছরের ২৬ জুলাই। সেদিন ৫০ হাজার ৯৫২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ পুরুষ ও ৪ নারী, যাদের মধ্যে একজন শিশু। এ সময়ে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী এক, চল্লিশোর্ধ্ব ২, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩, ষাটোর্ধ্ব ৫, সত্তরোর্ধ্ব ২ ও অশীতিপর ৪ জন রয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের প্রাণ গেছে। এর পরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এ বিভাগে মৃত্যু হয় ৪ জনের। এ ছাড়া খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহে একজন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

গত এক দিনে শনাক্তের প্রায় ৭০ শতাংশই ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ২৫৯ জন।

গত বছরের ৪ অক্টোবর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে। জানুয়ারি থেকে আবার শনাক্তের হার বাড়তে থাকে।

গত ৭ জানুয়ারি থেকে করোনার সংক্রমণ, শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। ২১ দিন ধরে করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের ওপরে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথমে ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনটি ঢেউ দেখেছে সরকার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের একপর্যায়ে দেশে শাটডাউন নামে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। ওই সময় বাড়ির বাইরে গেলে জরিমানাও করা হচ্ছিল।

এবার বিধিনিষেধ দিলেও প্রশাসনের তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হলেও এখনও লকডাউনের চিন্তা করছে না করোনা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় কমিটি।

করোনার প্রথম ঢেউ থাকে ২০২১ সালের শুরু পর্যন্ত। একই বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দ্বিতীয় ঢেউয়ে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার ছিল তুলনামূলক বেশি।

তৃতীয় ঢেউয়ে শনাক্ত ও শনাক্তের হার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় শাটডাউনকালের বিধিনিষেধের সমান, তবে মৃত্যুর হার তুলনামূলক কম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত