২৭ মার্চ, ২০২০ ০৩:১৪
নভেল করোনাভাইরাস জনিত কভিড–১৯ রোগে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার প্রথম প্রহর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১,৮৯৬ জন।
এদিন আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তও হয়েছে দেশটি, যার সংখ্যা ১৩,৬৮৫। একদিনে যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন ১,১৭৪ জন।
গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া এই রোগ এখন পর্যন্ত ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে। বর্তমানে মৃত্যুর দিক থেকে সবচেয়ে বাজে অবস্থায় রয়েছে ইতালি ও স্পেন। দেশ দুটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮,২১৫ এবং ৪,১৪৫ জন।
এছাড়া চীনে মারা গেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩,২৮৭ জন এবং ইরানে মারা গেছেন ২,২৩৪ জন।
করোনাভাইরাস নিয়ে হালনাগাদ তথ্য দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার ইনফোতে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২৫,৬০৫ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২৩,৩২৯ জন এবং মারা গেছেন ২৩,৭১১ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তারা বলছে, নতুন করোনাভাইরাসের ব্যাপক ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে চাইলে জরুরি ভিত্তিতে আগ্রাসী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশই লকডাউনে গেছে। এদিকে, কেবল লকডাউনেই এই সমস্যার দেখছেন না বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস অ্যাধনম গেব্রেইয়েসাস। কম আক্রান্ত দেশগুলোর ‘দুর্বল পদক্ষেপ’ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রত্যেকটি দেশকে এই মুহূর্তে ছয়টি পদক্ষেপ নেয়ার জোর তাগিদ দিয়েছেন তেদ্রোস। পদক্ষেপগুলো হলো: স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো, প্রশিক্ষণ প্রদান এবং কর্মে নিয়োজিত করা; সন্দেহভাজন আক্রান্তদের সনাক্ত করতে কৌশল নির্ধারণ করা; টেস্ট কিটের উৎপাদন বাড়ানো এবং সহজলভ্য করা; করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা যাবে এমন অবকাঠামো খুঁজে বের করা; সন্দেহভাজনদের কোয়ারেন্টিন করার পরিকল্পনা নির্ধারণ করা; ভাইরাসের বিস্তার রোধে ব্যবস্থা নেয়া।
এদিকে, এ মাসের ৮ তারিখে বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। দেশে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। এদের মধ্যে ৫ জন মারা গেছেন, এবং ১১ জন সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে আইইডিসিআর। এখন পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩২১টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৯২০ জনের।
বাংলাদেশে লকডাউন ঘোষণা করা না হলেও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সরকারি ছুটি এবং অন্যান্য সাপ্তাহিক ছুটিসহ আজ ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে, মানুষদের ঘরে রাখতে প্রশাসনিক উদ্যোগে সহায়তা দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
আপনার মন্তব্য