আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০১ এপ্রিল, ২০২০ ১৯:০৮

যক্ষ্মার বিসিজি টিকা নেয়াদের করোনা সংক্রমণে ঝুঁকি কম

যক্ষ্মার প্রতিষেধক হিসেবে শৈশবে নেয়া বিসিজি বা ব্যাসিলাস ক্যালমেট-গুউরিন টিকা বর্তমানে মহামারি রূপ নেওয়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এই টিকাকে কার্যকর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।  যক্ষ্মা প্রতিরোধে শত বছর ধরে ব্যবহৃত এই টিকা মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোষ্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও দ্য হিন্দু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিজি টিকা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের কতটা কার্যকর এবং করোনা প্রতিরোধে কতটা কার্যকর তা বিশ্লেষণ করতে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ নিগাল কার্টিসের নেতৃত্বে গবেষণা শুরু হয়েছে। এই গবেষণায় সাহায্য করতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে উৎসাহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)।

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মার্ডখ চিলড্রেন রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রধান নিগাল কার্টিসের এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করছেন অস্ট্রেলিয়ার ৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী। অস্ট্রেলিয়ার বাইরে নেদাল্যান্ডসে ১ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এই গবেষণায় কাজ করবে বলে জানান নিগাল।

তিনি বলেন, ‘এই টিকা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যা যেকোনো ভাইরাস, সংক্রামক রোগ কিংবা ব্যাকিটেরিয়াজনিত রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।’

এদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে নিউইয়র্ক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি কলেজ অফ অস্টিওপ্যাথিক মেডিসিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পৃথিবীর যেসব দেশে বিসিজি টিকাদান কর্মসূচি নেই যেমন- ইতালি, নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে দীর্ঘস্থায়ী টিকাদান কর্মসূচি যেসব দেশে চালু আছে ওইসব দেশের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কম।

গবেষণায় আরও দাবি করা হয়, বিসিজি টিকা আসার পর থেকে বিশ্বে মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়, মৃত্যুর হার বেশি হওয়ায় ১৯৮৪ সালে বিসিজি কার্যক্রম শুরু করে ইরান। দেশটিতে বিসজি টিকা দেওয়া মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি তেমন একটা পাওয়া যায়নি।

এ ছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিসিজি টিকা না দেওয়ার কারণে চীন এবং ভারতের চেয়ে করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে গবেষণায় দাবি কর হয়। কারণ চীন এবং ভারতে বহুকাল ধরে বিসিজি টিকার প্রচলন রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত