জাহিদ নেওয়াজ খান

১৭ অক্টোবর, ২০১৬ ২১:১৯

সাংবাদিকতা ফেসবুক পোস্ট নয়!

সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদেরকে প্রথমেই অবিচ্যুয়ারি অর্থাৎ শোক সংবাদ লেখা শেখানো হয়েছিল। এজন্য শুরুতেই শোক সংবাদ লেখা শেখানো হয়নি যে, এটা লেখা খুব সহজ। বরং এজন্য শেখানো হয় যে, ছোট এ সংবাদে সাংবাদিকতার প্রাথমিক পাঠ-- সূত্র, বরাত, চেক-ক্রস চেক, সতর্কতা, প্রাইভেসি-- বেসিক নীতিমালাগুলো জানা হয়।

যারা বাম নেতা ও তাত্ত্বিক অজয় রায়ের মৃত্যু সংবাদে তাকে অভিজিৎ রায়ের পিতা অধ্যাপক অজয় রায় হিসেবে উল্লেখ করেছেন তারা কার সঙ্গে কথা বলে কোন সূত্রে সংবাদটি প্রকাশ করলেন সেটা বুঝতে পারছি না। কারো সঙ্গে কথা বললে তো ভুল হওয়ার কথা না।

তরুণ সাংবাদিকরা যদি কোন অজয় রায়কেই না চেনেন তাতে দোষের কিছু নেই। তারা যদি অভিজিৎ নিহত হওয়ার পর পদার্থ বিজ্ঞানী অজয় রায়কে চিনে থাকেন তাতেও সমস্যা থাকার কথা না। সে কারণে কমরেড অজয় রায় অসুস্থ হওয়ার পর তাদের কেউ কেউ তাকে অভিজিতের বাবাও মনে করেছিলেন।

কিন্তু, তখনইতো পরিষ্কার হওয়ার কথা যে, দেশে অজয় রায় নামে বিশিষ্ট মানুষ আছেন দুইজন। তাহলে কোন একজন অজয় রায় মারা গেছেন জানার পর তাদের তো আরো বেশি সতর্ক হওয়ার কথা ছিল।

তারপরও কারো কারো ভুলটা হলো কিভাবে?

সাংবাদিকতা বিষয়টা ফেসবুক পোস্ট নয়। সাংবাদিকদের এটা বুঝতে হবে। না হলে নিজেদের অবিচ্যুয়ারি নিজেদেরই লিখে ফেলতে হবে।

  • জাহিদ নেওয়াজ খান : সাংবাদিক

[ফেসবুক থেকে]

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত