সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০২:৩৯

বাংলাদেশে কোনো জঙ্গির স্থান হবে না, ফেসবুক লাইভে আছাদুজ্জামান

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদকে প্রাথমিকভাবে রোধ করতে পেরেছি। জঙ্গিবাদের শেকড় চিরতরে উৎপাটনের জন্য আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি। বঙ্গবন্ধুর এ বাংলাদেশে কোনো জঙ্গির স্থান হবে না।’

বুধবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘লাইভ’-এ তিনি এ কথা বলেন।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। প্রচুর অর্থ খরচ করে বিদেশে যা হয়নি তা বাংলাদেশে হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। বিদেশিদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘হলি আর্টিজানে হামলার পর ওই সব এলাকার রেস্টুরেন্টে লোক ছিল না। এখন লোকজন যাচ্ছে। জীবন স্বাভাবিক হচ্ছে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এখন সবচেয়ে কম অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। এখন রাত ১২টা, ১টা পর্যন্ত লোক চলাফেরা করছে। ছিনতাইয়ের দু-একটা ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু ব্যাপকভাবে হয় না।’

তিনি আরো বলেন, ‘চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে বিনিয়োগ বাড়বে।’

পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে যে বিড়ম্বনা হতো, তা বন্ধ হয়েছে। রাতারাতি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব না। পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এতে দুর্নীতিও বন্ধ হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘৫৪ ধারায় বহু লোককে আটক করা হতো। তাতে লাগাম টানা হয়েছে।’

পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘জন-হয়রানি বন্ধে সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। ধীরে ধীরে ব্যবস্থার উন্নতি হবে।’

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘এখনো ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন চলছে। ১৮৬১ সালের আইন দিয়ে একবিংশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কঠিন। এ ক্ষেত্রে নতুন ও যুগোপযোগী আইন করতে হবে। বিদেশে জরিমানার ভয়ে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করতে চায় না। কারণ জরিমানার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। সবাই পুলিশের কাছে ইউরোপীয় ধাঁচের সেবা চায়। কিন্তু যে দেশে অধিকাংশই আইন মানেন না সেখানে তা পাওয়া কষ্টকর।’ তিনি আরো বলেন, ‘ইউরোপীয় মানের সেবা পেতে জনগণকেও ইউরোপীয় মানের মানসিকতা করতে হবে।’

এ সময় সাম্প্রদায়িক উসকানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। উসকানিমূলক কাজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের একঝাঁক তরুণ মেধাবী কর্মকর্তা এ নিয়ে কাজ করছেন। যারা উসকানিমূলক কাজ করবে, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’

রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থা প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘রাস্তা চওড়া হচ্ছে। হকারমুক্ত হচ্ছে। দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররা কাজ করছেন। ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে। ট্রাফিক আইন ভাঙা, লাইসেন্স-বিহীন গাড়িসহ বিভিন্ন বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। এ ক্ষেত্রে পরিবহন, মালিক-শ্রমিকদের এগিয়ে আসতে হবে।’

আধুনিক ব্যবস্থা হলে পুলিশের মধ্যে থাকা দুর্নীতিও কমে আসবে বলে জানান পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, ‘কমিউনিটি পুলিশ, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণের কাছাকাছি এসেছি আমরা। আধুনিকায়নের কারণে দুর্নীতি অনেক কমে গেছে। ট্রাফিক কার্যক্রমে ইলেকট্রনিক স্লিপ দেওয়া হচ্ছে। নগদ অর্থ নেওয়া বন্ধ আছে।’ 'জঙ্গিবাদের শেকড় চিরতরে উৎপাটনের জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করছি।'

আপনার মন্তব্য

আলোচিত