১৯ আগস্ট, ২০১৬ ০১:১৩
গ্রেডিং সিস্টেম চালু হবার পর এবারই প্রথম ফলাফলের সাথে গ্রেড পয়েন্টের সাথে প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ হয়েছে। তবে নম্বর প্রদানের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
কেউ বলছেন এই নিয়ম খুবই ভাল কারও মতে এতে বাড়বে জটিলতা। কেউ আবার মনে করছেন আগে থেকে জানিয়ে করলে ভাল হত।
এমসি কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে পাশ করা শিক্ষার্থী কানন তালুকদার এটাকে দেখছেন "গ্যাঞ্জাম" হিসেবে। তিনি মনে করেন, এতে এক ধরনের মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে একই প্রতিষ্ঠানের পাপিয়া তালুকদার নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, "এটা ভালো, নম্বর প্রদান করায় নিজেকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।"
এ ব্যাপারে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া সালসাবিল ওয়াসেকা বলেন, "হঠাৎ করে এটা করা ভাল হয়নি, আগে না জানানোতে এতে জটিলতা বাড়বে।" একই মত জানান মদন মোহন কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী।
সিলেট কমার্স কলেজের আলী হোসেন ও অভিক দেব অবশ্য জোর গলায় বললে, "নাম্বার প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত খুব ইতিবাচক, কোন বিষয়ে কত পেয়েছি তা জানতে পারব এখন।"
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফলে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে মেয়েদের চেয়ে এবার ছেলেরা ভাল ফল করেছে। তবে সার্বিক পাশের হার অনেক কমে গেছে। গতবছর পাশের হার ছিলো ৭৯.৩৮, এবার পাশের হার ৬৮.৫৯ শতাংশ। এবার এই বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ১৩৩০। যা আগের বছরের তুলনায় কম।
আপনার মন্তব্য