০৯ আগস্ট, ২০১৭ ০৯:৫৭
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল থেকে সন্দেহভাজন শিবিরের ১২ নেতাকর্মীকে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে অভিযান চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে ১২ শিক্ষার্থীকে আটক করে পেটানোর পর ভোরে আহত অবস্থায় তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আটকরা হলেন নৃ-বিজ্ঞান বিভাগ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুল হাসান নাফিস, ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের মাস্টার্সের আরিফুল ইসলাম, আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের রাকিব আহমেদ, বোটানি চতুর্থ বর্ষের মাহমুদুল হাসান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের জাকির হোসেন, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সাহেব রানা, পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শাহানুর আলম হিমেল, একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শরিফুল ইসলাম, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রাকিব, আরবি সাহিত্য বিভাগের মাস্টার্সের নাবিউল ইসলাম, অলিউল ইসলাম ও একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বানী।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে আটকের সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন 'জিহাদি বই', শিবিরের নথি, দু’টি কম্পিউটারসহ নগদ ১৯ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে ২০/২৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী হলের ১৪৩ নম্বর কক্ষে যান। ওই রুমের আবাসিক ছাত্র সাহেব রানা ও নাবিউল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হলের ১৪৮, ১৫৫, ১৫০, ২৪৯, ২৫৪, ২৭৬, ৩৫৮, ৩৬০ ও ৩৬২ নম্বর কক্ষে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিভিন্ন 'জিহাদী বই', শিবিরের রিপোর্ট বই, ডায়েরি, অর্থ বিভাগের ১৯ হাজার টাকা ও শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর নামের তালিকাসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট উদ্ধার করা হয়।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মাহবুব হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ অভিযান চালানোর সময় আমরা হলে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু হল প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় আমরা অভিযানে অংশ নেইনি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ১২ জন শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছেন।
তিনি আরও জানান, অধিকাংশই শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মন্তব্য