নিউজ ডেস্ক

১১ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:১১

ঢাবির আকাশে ড্রোন

কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আকাশে রহস্যময় একটি ড্রোন দেখা গেছে। ড্রোনটি প্রায় ১০ মিনিট ঢাবির ক্যাম্পাসে ঘোরে। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সেইম সেইম (লজ্জা) বলে চিৎকার করতে থাকে।

মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার সময় প্রথমে ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির উপরে দেখা যায় ড্রোনটি। তখন লাইব্রেরির সামনে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করছিল। এর কিছুক্ষণ পর ড্রোনটি ঠিক রাজু ভাস্কর্যের উপরে আসে। এরপর ড্রোনটি লাইব্রেরির উপরে চলে আসে। তার কিছুক্ষণ পর আবার চলে যায়। এসময় কয়েকবার নীল বাতি জ্বলতে দেখা গেছে।

ড্রোনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাশে দেখার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

ড্রোনের বিষয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাশে কেন ড্রোন সেটা আমরা জানি না। কারা ড্রোন এনেছে সেটাও আমরা জানি না। তবে আমাদের মনে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ড্রোন হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হয়তো বোঝার চেষ্টা করছে কারা আছে কতজন আছে।’

তরিকুল ইসলাম নামের অন্য এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘সরকার হয়তো ড্রোন দিয়ে আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। আমরা কোনো কিছুতে ভয় পাই না। আমাদের যৌক্তিক দাবি মানতেই হবে।’

‘আমরা এখানে কী করছি সেটা পুরো জাতি জানে। আমরা আমাদের কথা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছি। ড্রোন কারা এনেছে, কেন এনেছে এটা আমাদের দেখার বিষয় না। আন্দোলন চলছে, আন্দোলন চলবে’ যোগ করেন তিনি।

এর আগে কোটা সংস্কারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আগের মতো আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে ঐক্যবদ্ধ ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এ ঘোষণা দেয় শুরু থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া কমিটি।

কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা আসতেই হাজার হাজার শিক্ষার্থী ফের রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হতে থাকেন। মিছিল আর স্লোগানে তারা গোটা ক্যাম্পাস মুখরিত করে রেখেছেন।

এর আগে সোমবার সচিবালয়ে সরকারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে কোটা সংস্কার পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষার আশ্বাসে ৭ মে পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা। তবে ‘অস্পষ্ট আশ্বাস’ মেনে না নিয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যেতে থাকে একাংশ। আজকের ঘোষণার মধ্যদিয়ে এই বিভক্তির অবসান ঘটল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত