শাবি প্রতিনিধি

১২ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:২৮

পরীক্ষা না দিয়েই মেধাতালিকায় ৩৫৩ তম!

রংপুরের পীরগঞ্জের বাসিন্দা রাসিক মারজান। এবছর রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম কেনেন পরীক্ষা দেবেন বলে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম কিনলেও পরীক্ষা দেননি তিনি। তবুও প্রকাশিত ফলাফলে তার মেধাস্থান ৩৫৩ তম। ভর্তিও হতে এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার আর ভর্তি হওয়া হয়ে উঠেনি। সেখান থেকে তাকে সরাসরি যেতে হয়েছে শ্রীঘরে

জানা যায়, শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে উত্তীর্ণ হন তিনি। এ খবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আগে দিয়ে রেখেছিল গোয়েন্দারা। সেই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। কিন্তু প্রথমে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ দেখালে একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন। পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয় রাসিক মারজান নামের ওই শিক্ষার্থীকে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রোববার (১১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ ভর্তির সাক্ষাৎকারের দিন নির্ধারিত ছিল। বিকেলে ৩৫৩ তম মেধাস্থানের ক্রমিক এলে ভর্তির জন্য আসেন রাসিক মারজান। তবে তিনি এইচএসসির মূল সনদ নিয়ে আসেননি। নকল সনদ নিয়ে আসেন। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব জহীর উদ্দিন আহমেদ জালিয়াতি করে ভর্তির হওয়ার বিষয়ে রাসিককে প্রশ্ন করলে তিনি অস্বীকার করেন। পরে প্রক্টর তার মূল সনদের কপি দেখালে সেটি তার বলে স্বীকার করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করেন, তিনি ভর্তি পরীক্ষা দেননি। পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা দিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে জালিয়াতি করে এ মেধাস্থান অর্জন করেন। পরে প্রক্টর তাকে সিলেট নগর পুলিশের জালালাবাদ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই শিক্ষার্থী জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করলে তাকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আটক করে ওই শিক্ষার্থীকে আমাদের হেফাজতে দিয়েছে। পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে রাসিকের নামে মামলা আছে। সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা ঢাকা থেকে আসছেন। তাদের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত