রাবি প্রতিনিধি

২১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০১:০৫

বহিরাগত যুবকের ছুরিকাঘাতে রাবি ছাত্রলীগ নেতা আহত, আটক ১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক নেতাকে ছুরিকাঘাত করেছে বহিরাগত কয়েকজন যুবক। এ ঘটনায় এক যুবককে আটকে রেখে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশি পাহারায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রোববার রাত ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাশে ছুরিকাঘাতের এ ঘটনা ঘটে।

আহত ইমতিয়াজ আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আরবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

মারধরের শিকার স্থানীয় যুবক আরিফ ইসতিয়াক রোমেন রাবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মী বলে দাবি করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী জানায়, রাত ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু হলের পাশে দোকানে নাস্তা খাচ্ছিলো সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ। এসময় বহিরাগত বেশ কয়েকজন এসে হঠাৎ ইমতিয়াজের গলায় ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় রোমেনকে আটক করে বঙ্গবন্ধু হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এরপর রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে বের করা হয়। রোমেনকে গাড়িতে তোলার সময় তার ওপর হামলা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় ডিসি, এডিসি, ওসিও লাঞ্ছিত হন।

এর আগে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে মোটরসাইকেলে ধাক্কাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান ইমতিয়াজ। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। সেসময় বাঁধন নামে স্থানীয় এক যুবকের মাথা ফেটে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তী সময়ে ইমতিয়াজের ওপর এ হামলা চালানো হয় বলে ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীর বয়ানে ঘটনাস্থল থেকে জানা যায়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, “স্থানীয় কয়েকজন যুবক এসে আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদককে ছুরিকাঘাত করেছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ভেবে দেখব। তবে কাজলার ঘটনা আর এই ঘটনা এক কি না সেটা আমরা জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। আর এই ছেলে সেই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না সেটাও দেখা হবে।”

সহকারী প্রক্টর শিবলী ইসলাম বলেন, “বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করবে এটা তো কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে খুব বেশি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছাড়াই আমরা বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।”

মতিহার থানার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, “খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে আসি। পরে আটক রোমেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”

পুলিশ লাঞ্ছিতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাগের সঞ্চার হওয়াটা স্বাভাবিক। রোমেনকে বের করার সময় টানাহেঁচড়ার মধ্যে পড়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ কয়েকজন সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত থাকার পরও এমন ঘটনা ঘটা দুঃখজনক।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত