সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ জুলাই, ২০১৯ ২১:৫৪

জাবিতে দুই শিক্ষার্থীর গায়ে ধাক্কা লাগা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দুই শিক্ষার্থীর গায়ে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে সংঘর্ষে দুজন শিক্ষক, একজন সাংবাদিক এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান জানান, আহতদের মধ্যে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী ইকবাল, সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবালও রয়েছেন।

তিনি বলেন, “তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুর দুইটার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা এলাকার একটি দোকানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ মওলানা ভাসানী হলের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করে। এরপর, মওলানা ভাসানী হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা ফের হামলা চালালে, উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।”

পুলিশ এবং হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এসময় দুপক্ষই রামদা, ছুরি, রড, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত অর্ধশত আহত হন।

পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর।

আহতদের প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজাউল জানান, এদের মধ্যে ৪০ জনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

প্রক্টর ফিরোজ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপুর ২টার দিকে বটতলার বেলাল মিয়ার দোকানে মিষ্টি খেতে যায় বঙ্গবন্ধু হলের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী দ্বীপ বিশ্বাস (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ) ও আলিফ হাসান দীপু (বাংলা বিভাগ)। এ সময় ভাসানী হলের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগকর্মী সৌরভ কাপালীর (ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ) সঙ্গে ধাক্কা লাগে দ্বীপের। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে দ্বীপকে চড়-থাপ্পড় মারে সৌরভ।

মারধরের খবর পেয়ে বঙ্গবন্ধু হল থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী পিস্তল, লাঠি, চাপাতি, রামদাসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বটতলা এলাকায় আসে। একই সময়ে ভাসানী হলের শিক্ষার্থীরাও লাঠি, চাপাতি ও রামদা নিয়ে বটতলায় উপস্থিত হলে উভয়পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয় হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।

ঘটনার পরপর সাংবাদিকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুজন সহকারী প্রক্টর ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সেখানে গেলেও পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকও সেখানে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত