শাহেদ চৌধুরী পরিচালনায় নির্মিত ‘আড়াল’ চলচ্চিত্রটি গত ৫ জানুয়ারি সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। সেন্সর শো শেষে গত ২৮ জানুয়ারি ছবির পরিচালককে দেয়া এক চিঠিতে সেন্সর বোর্ড জানায়, চলচ্চিত্রটি জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয়। চিঠিটি বুধবার পরিচালকের হাতে এসে পৌঁছায়।

চিত্রনায়ক শাহরিয়াজ, চিত্রনায়িকা আঁচল ও আইটেম কন্যা খ্যাত অভিনেত্রী বিপাশা কবিরকে নিয়ে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে পরিচালক শাহেদ চৌধুরী শুরু করেন ‘আড়াল’ ছবির নির্মাণ কাজ। এতে চাকরিচ্যুত পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো নায়িকা হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান বিপাশা কবির। গেল আগস্টে নির্মাণ কাজ শেষে, সম্প্রতি ছবিটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়া হয়।

চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি সেন্সর বোর্ডে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কর্তৃক ‘আড়াল’ চলচ্চিত্রটি পরীক্ষা করা হয়। বোর্ড সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর সম্মানিত সদস্যগণ মত দেন যে, দর্শকদের জন্য ক্ষতিকর হবে এমন প্রচণ্ড আইনহীনতা, অন্যায়-অপরাধ ও গোয়েন্দাবাজিমূলক কার্যক্রম প্রয়োগের মাধ্যমে সংলাপ/দৃশ্যাবলি পূর্ণ করত চলচ্চিত্রটিতে মূল কাহিনী অপর্যাপ্ত রয়েছে। চলচ্চিত্রটিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণের অননুমোদিত পোশাক/পদবি দেখানো ও অবমাননাকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটির কোনো কোনো অংশে কাহিনী অবাস্তব ও উদ্ভট মনে হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চেইন অব কমান্ডের অর্পিত দায়িত্ব ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যার কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। চলচ্চিত্রটি আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য অনুপ্রাণিত করে এমন দৃশ্য ও সংলাপ রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সম্মানিত সদস্যগণ ‘আড়াল’ নামক চলচ্চিত্রটি জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শনের জন্য উপযোগী নয় বলে মত দেন।

এ প্রসঙ্গে পরিচালক শাহেদ চৌধুরী বলেন, ‘বাস্তবধর্মী গল্প নিয়েই আমার ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে কিছু ভুল ভ্রান্তি থাকতে পারে। তা সংশোধন করে আবারো সেন্সর বোর্ডে জমা দিব। এ জন্য কোন অংশের শুটিং করারও প্রয়োজন হবে না।’