সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৫:২০

ভারতেও পেঁয়াজ ১৫০ ছাড়াল

ভারতেও লাগাম টানা যাচ্ছে না পেঁয়াজের দামে। মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু বাজার এবং কলকাতার একটি বাজারে গতকাল বুধবার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি দরে।

ভারতে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গঠিত রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সও জানিয়েছে, চলতি মাসে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা কম। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া বাজারে এদিন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি-প্রতি ১৫০ টাকায়। নওদার আমতলা বাজারেও পেঁয়াজের দাম ১৪০-১৫০ টাকা কেজি। কলকাতায় রাজডাঙা বাজারেও পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি দরে।

পেঁয়াজের ঝাঁঝ মানুষকে কাঁদিয়ে ছাড়লেও টাস্কফোর্সের সদস্যেরা আশার কথা শোনাতে পারেননি। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘শীতে অন্যান্য আনাজের দাম কমতে শুরু করেছে। কিন্তু এ মাসে পেঁয়াজের সঙ্কট চলবে বলেই আশঙ্কা হচ্ছে।’

দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে জানান, মহারাষ্ট্রের মত কয়েক জায়গায় বন্যার ফলে পেঁয়াজের উৎপাদন অনেক কম হয়েছে। দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কম দামে পেঁয়াজ সরবরাহ করছে। রপ্তানিও সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়ৎদারের জন্য মজুতের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে, দাম কবে নাগালের মধ্যে আসবে তা নিয়ে কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি তিনি।

এরপর বিরোধীদেল থেকে তাকে প্রশ্ন করা হয়, “আপনি কত দামে পেঁয়াজ কিনছেন?” নির্মলা এর জবাবে বলেন, “আমি এমন পরিবার থেকে এসেছি, যেখানে পেঁয়াজ-রসুন ঢোকে না!”

ঢাকায় এখন প্রতি কেজি দেশি পুরনো পেঁয়াজ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২২০, মিসরীয় পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৬০ ও চীনা পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশে পেঁয়াজের সংকটের শুরু সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে। ভারত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম মূল্য ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়। এরপরের ধাক্কা আসে ২৯ সেপ্টেম্বর, ভারত রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এ ধাক্কায় ৫০ টাকার পেঁয়াজ ১৫০ টাকা ছাড়ায়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দর। এরপর লাফ দিয়ে পেঁয়াজের দর প্রতি কেজি ২৫০ টাকায় ওঠে নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। বর্তমানে পেঁয়াজের বাজার দর উঠানামার মধ্যে রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত