সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ আগস্ট, ২০১৬ ১৮:১৯

মীর কাসেমের রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশ

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত একাত্তরের আলবদর বাহিনীর নেতা মীর কাসেম আলীর করা রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদন খারিজের রায় প্রকাশিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রায়টি প্রকাশিত হয়।

হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. সাব্বির ফয়েজ বলেন, "২৯ পৃষ্ঠার রিভিউর রায় প্রকাশিত হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে তা ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। সেখান থেকে রায়ের কপি কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবে।"

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেমের করা আবেদন মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে খারিজ করে দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সকালে এই রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন—বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

মীর কাসেম আলীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১২ সালের ১৭ জুন গ্রেফতার করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী জামায়াতের এই নেতা ১৯৭১ সালে ছিলেন দলটির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের চট্টগ্রাম শহর শাখার সভাপতি। সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন 'আলবদর বাহিনীর' চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান।

মীর কাসেমের নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধকালে চট্টগ্রাম শহরের আন্দরকিল্লা এলাকার ডালিম হোটেলে স্থাপিত হয় আলবদর বাহিনীর ক্যাম্প ও নির্যাতনকেন্দ্র।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দুটি অভিযোগে মীর কাসেমের ফাঁসি ও আটটি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। ওই বছরের ৩০ নভেম্বর আপিল করেন মীর কাসেম।

চলতি বছরের ৮ মার্চ আপিলের রায়ে একাত্তরে চট্টগ্রামের কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে হত্যার দায়ে মীর কাসেমের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত। অন্য ছয়টি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে তার কারাদণ্ডও বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় গত ৬ জুন। ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৯ জুন আবেদন করেন মীর কাসেম। তার আবেদনের ওপর ২৪ আগস্ট শুনানি শুরু হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত