সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ অক্টোবর, ২০১৬ ০১:৩৮

জামায়াতের আমির মকবুলের যুদ্ধাপরাধের অনুসন্ধানে ট্রাইব্যুনাল

বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর আমির হিসেবে শপথ নেয়ার চার দিনের মাথায় মকবুল আহমাদের যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধান শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিগত ছয় বছর ভারপ্রাপ্ত আমির হিসাবে দায়িত্ব পালন করার পর ১৭ অক্টোবর দলের পূর্ণাঙ্গ আমির হিসাবে শপথ নেন তিনি।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদ ১৯৭১ সালে ফেনী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিলেন। ওই সংবাদের সূত্র ধরেই এখন মকবুল আহমাদের যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক সানাউল হক বলেন, দুটি অনলাইন পত্রিকার খবরে মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে দুটি সুনির্দিষ্ট অপরাধের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে এবং তার সত্যতা তারা অনুসন্ধান করবেন।

তিনি জানান, অনুসন্ধানের জন্য গত বুধবার একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে।

সানাউল হক বলেন, 'অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা বেরিয়ে আসলে এবং যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে তখন মামলা করে তদন্ত করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'সে (মকবুল আহমাদ) যে রাজাকার ছিল, সেটা ওই এলাকার তালিকায় রয়েছে। এটা ঠিক।'

এদিকে মকবুল আহমাদের যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধানের এ উদ্যোগের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। এক বিবৃতিতে দলটি অভিযোগ করেছে, ছয় বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত আমির থাকাকালে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। এখন শপথ নেয়ার পরপরই এ অভিযোগ।

জামায়াতের দাবি, দলের বিরুদ্ধে সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ অনুসন্ধান।

ছয় বছর ভারপ্রাপ্ত আমির থাকলেও এখন কেন মকুবল আহমাদের বিরুদ্ধে এ অনুসন্ধান- এমন প্রশ্নে সানাউল হক বলেন, 'এতদিন আমাদের কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত ছিল না। এখন অন্তত দুটি সুনির্দিষ্ট ঘটনার অভিযোগ করা হচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'আইনে তাদের এ ধরনের অনুসন্ধান করার অধিকার দেয়া হয়েছে। কারো মুখে কিছু শুনলেও আমরা তদন্ত করতে পারি। তার অংশ হিসাবে আমরা অনুসন্ধান শুরু করেছি।'

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক, 'উনি জামায়াতের আমির হয়েছে কি হয়নি সেটা কোনো বিষয় নয়। আমির না হলেও এরকম তথ্য আমাদের নজরে আসলে অনুসন্ধান কাজ শুরু করতাম।'

আপনার মন্তব্য

আলোচিত