৬১ জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।

রোববার (০৪ ডিসেম্বর) এ রুল জারি করেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ।

নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এ রুল জারি করা হয়। সংবিধানের সঙ্গে এ নির্বাচন সাংঘর্ষিক দাবি করে ও জেলা পরিষদ আইনের তিনটি ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২৯ নভেম্বর রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।

ড. ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, জেলা পরিষদ আইন ২০০০ সালের ৪ (২) ও ১৭ ধারা এবং জেলা পরিষদ সংশোধিত আইনের ৫ ধারাকে রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এসব ধারায় বলা হয়েছে- জেলার অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান যেমন- সিটি করপোরেশন (যদি থাকে), উপজেলা পরিষদ, পৌর করপোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য হবেন। এবং তারা জেলা পরিষদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।

তিনি আরও বলেন, জেলা পরিষদ আইনের এই তিনটি ধারা সংবিধানের ৭, ১১, ২৬, ২৭, ৩১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ এবং প্রস্তাবনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর মধ্যে সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আর ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে স্থানীয় সরকারের প্রত্যেক ইউনিটে প্রতিনিধিরা আইন অনুসারে নির্বাচিত হবেন। বাংলাদেশে ইলেক্টোরাল ভোটের নিয়ম নেই। ইলেক্টোরাল ভোটগ্রহণ করার আগে এ সংক্রান্ত বিধি করতে হবে। তা না করেই ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত সঠিক হচ্ছে না।

ইউনুছ আলীর মতে, এ বছর জেলা পরিষদ আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, সেটিও সঠিক হয়নি। তাছাড়া নির্বাচনের মনোনয়নের সময় পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে সরকারি দল থেকে বলা হয়েছে, যারা মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য হতে পারেননি, দলে পদ-পদবিও নেই এসব নেতাদের খুঁজে বের করে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, আইনের বিধানগুলো ১৬ কোটি মানুষের স্বার্থে নয়, দলীয় স্বার্থে করা হয়েছে। তাই এ রিট আবেদন করা হয়েছে।