সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ জুলাই, ২০১৭ ১৮:৫৫

আরও ১৫ বীরাঙ্গনার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি

একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী এবং রাজাকারদের হাতে নির্যাতিত আরও ১৫জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এ উদ্যোগ নেওয়ার পর এ পর্যন্ত মোট ১৮৫ জন বীরঙ্গনাকে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ হল।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৪৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

রংপুর সদরের রূপালী রানী সিংহ, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর মর্জিনা বেগম, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের মমতাজ বেগম এবং সাতক্ষীরার দেবহটার প্রভা রানী ঘোষ এবার স্বীকৃতি পেয়েছেন।

বরিশালের আগৈলঝাড়ার মোসাম্মৎ মমতাজ বেগম, কিশোরগঞ্জের নিকলীর রেহেনা খাতুন (মৃত) এবং লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার মমেনা, মোছাম্মৎ খতিনা বেগম ও মোছাম্মৎ সালেহা বেগমও পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি।

এছাড়া শরিয়তপুরের গোসাইরহাটের ভানু বিবি এবং জামালপুরের ইসলামপুরের মোসাম্মৎ রংমালা খাতুন, রাবেয়া বেগম, মোছাম্মৎ সামছুন্নাহার, ছকিনা বেগম ও মোছাম্মৎ শেফালী বেগমকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

তারা প্রতি মাসে ভাতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মত অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যা‌তিত নারীদের ‘বীরাঙ্গনা’ স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সম্মান জানান। তার নির্দেশনায় সে সময় বীরাঙ্গনাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কাজও শুরু হয়, যা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আগ পর্য‌ন্ত চলছিল।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে আদালতেরও নির্দেশনা আসে।

শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চার দশক পর ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। পরের বছরের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ওই প্রস্তাব পাস হয়।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত