সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ জুন, ২০১৬ ১৩:১২

হত্যাকাণ্ডের সময় শিশুপুত্রকে ধরে রেখেছিলো এক দুর্বৃত্ত

শিশুপুত্রকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় সেই পুত্রের সামনেই দুর্বৃত্তদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম। 

রোববার সকাল সাতটার দিকে প্রতিদিনের মতোই চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে নিয়ে বাসার সামনে স্কুলগামী বাসের অপেক্ষায় ছিলেন মাহমুদা খানম। সে সময় ৩টি মোটরসাইকেলে করে আসা সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা তাকে ঘিরে ফেলে। 

হত্যার সময় শিশুপুত্রকে ধরে রাখে দুর্বৃত্তরা

সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার ও মাহমুদা খানম দম্পতির দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশুপুত্রকে দুর্বৃত্তরা তার মায়ের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়। তারা মাহমুদা খানমের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। ছেলেকে একটু দূরে ধরে রাখে এক দুর্বৃত্ত, এরপরে প্রথমে ছুরিকাঘাত ও পরে গুলি করে হত্যা করে মাহমুদা খানমকে। অসহায় শিশুপুত্রের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন চট্টগ্রামের সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী। 

দুর্বৃত্তরা হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার পরে মায়ের নিথর দেহের কাছে ছুটে আসে স্কুল পড়ুয়া ছেলে। পরে বাসার ভেতর থেকে পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে বাসায় নিয়ে যায়।

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে তিনবার সবোর্চ্চ পদক অর্জনকারী ও জঙ্গি দমনে আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী'র খুনের ঘটনায় সব সম্ভাবনা-কারণকে সামনে রেখে গোয়েন্দারা কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার।

জেএমবি চট্টগ্রামের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ জাবেদকে আটকসহ বহু জঙ্গি তৎপরতা প্রতিহত করতে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারে কর্মরত থাকার সময় উপকূলের অনেক জলদস্যু আটকেও তার অবদান রয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে ২০১২ সালে সিঙ্গার-চ্যানেল আই (সাহসিকতা) পুরস্কার লাভ করেছিলেন বাবুল আক্তার।

সদ্য পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন এসপি বাবুল আক্তার। তার পরিবারের সদস্যরা থাকেন চট্টগ্রামের জিইসি এলাকার ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত