সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ আগস্ট, ২০১৫ ০২:১৬

জমি বিক্রির টাকা পেলেন নারায়নগঞ্জের সেই যুবক

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে গণভবনের সামনে দাঁড়িয়ে আলোচনায় আসা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের সাদীপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট এলাকার যুবক আবুল কালাম আজাদ তাদের জমি বিক্রির পুরো টাকা বুঝে পেয়েছেন।

কারখানা স্থাপনে ওই ১৫ শতাংশ জমি কিনতে আজাদের বাবার সঙ্গে বায়নাচুক্তি করেছিলেন ব্যবসায়ী অমল পোদ্দার। কিন্তু আরও দুটি জমি না দেওয়ায় বাকি টাকা দেওয়া হচ্ছিল না বলে আজাদের অভিযোগ।

এরপর গত ২ অগাস্ট গণভবনের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ান পোশাককর্মী আজাদ।

সেই রাতে আজাদের বাড়িতে র‌্যাবের অভিযান এবং তার চাচাত ভাইকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক। জমি বিক্রির বাকি টাকা আদায় এবং অন্য জমি দুটির রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

সেই প্রতিশ্রুতির পর মঙ্গলবার বিকালে সোনারগাঁও উপজেলার উদ্ভভগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জমির মালিক আবুল কালাম আজাদের বাবা আব্দুল খালেক পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির মাধ্যমে অমল পোদ্দার ও তার অফিস কর্মকর্তা স্বপন চক্রবর্তীকে লিখে দিলে বুধবার তা রেজিস্ট্রি করে নেওয়া হয়।

আজাদ বলেন, “দেড় বছর আগে বিক্রি করা সাড়ে ১৫ শতাংশ জমির ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা মঙ্গলবার স্থানীয় জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার মধ্যস্থতায় আমার বাবার নামে ব্যাংক হিসাবে অমল পোদ্দার জমা দিয়েছেন।”

আজাদের চাচা নুরুউদ্দিন বলেন, অমল পোদ্দার কারখানা স্থাপনের জন্য ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট করতে থাকায় তার কাছে সাড়ে ১৫ শতাংশ জমি বিক্রি করতে বাধ্য হন তারা। কিন্তু বায়নার ৫ লাখ টাকা দেওয়ার পর ১৯ শতাংশ ও ১১ শতাংশের আরও দুই খণ্ড জমি চায়। তাতে রাজি না হওয়ায় পাওনা দিচ্ছিল না, উল্টো হয়রানি করছিল।

নুরুদ্দিনের ছেলে সোহেলকে র‌্যাব ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারের দাবি করেছে। তবে সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি তার পরিবারের।

সাদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল রশিদ মোল্লা বলেন, “এটা (জমি রেজিস্ট্রি করে পাওনা পরিশোধ) অমল পোদ্দার আগেই করতে পারতেন। শুধু শুধু এই হয়রানির ঘটনা না ঘটালেও পারতেন।”

মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক অমল পোদ্দার বলেন, “ভুল বোঝাবুঝির কারণে যে সমস্যার উদ্ভব হয়েছিল, তার অবসান হলো। এর পর থেকে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।”

সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন বলেন, “আমি নিজে গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও আজাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। যে জমি নিয়ে সমস্যা ছিল, সেই জমির বাকি টাকা তাদেরকে পরিশোধ করে জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়া হয়েছে।”

ওই এলাকায় আর যাদের জমি অমল পোদ্দার দখল করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, দলিলপত্র দেখে তা খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

এদিকে আজাদ আলোচনায় উঠে আসার পর অমল পোদ্দারের ভাতিজা বাপ্পী পোদ্দার ও তাদের সহযোগী সোলেমানকে তুলে নেয় অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিরা। গত ১০ দিনেও তাদের কোনো সন্ধান মেলেনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত