নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১০:১৯

সবাই খালেদার বাড়ির সামনে গিয়ে বলুন ‘পাকিস্তানে ফিরে যা’: জয়

মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ইতিহাস বিকৃতি করে দেয়া  বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

নিজের ফেসবুক পাতায় দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় জয় বলেন, "আমি ক্ষুব্ধ যে বিজয়ের মাসে খালেদা জিয়া এবং তার দল বিএনপি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। খালেদা নৃশংস পাক আর্মি ও তাদের সহযোগী খুনি জামায়াত-ই-ইসলামী কর্তৃক আমাদের নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডের সংখ্যাকে পাকিস্তানিদের মতই কমিয়ে বলে আসছে। "

শহিদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপির জরিপ চালানোর দাবি বিষয়ে জয় বলেন, "বিএনপি এমনকি সেই মৃতের সংখ্যার উপর জনমত জরিপ করতে বলছে! স্বীকৃত সত্য সব সময়ই সত্য। সেটা কখনও জরিপ দিয়ে নির্ণীত হয় না।"

বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জয় বলেন, "মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ পুরুষ, নারী এবং শিশুকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিলো। হিন্দুদের নির্যাতন ও দেখামাত্র গুলি করা হয়েছিলো। সমস্ত গ্রাম উজাড় করে ফেলা হয়েছিলো। এমনকি যখন তারা আত্মসমর্পণ করতে রাজী হয়েছিলো তখনও তারা আমাদের সেরা বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়ে সবাইকে হত্যা করেছিলো। এগুলো যুদ্ধে হতাহতের কোন ঘটনা ছিলো না। এসব ছিলো গণহত্যা। "

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আর বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই উল্লেখ করে জয় লিখেছেন,  
"খালেদা এখন আবারও এইসব খুনিদের রক্ষা করতে চেষ্টা করছে। সে নৃশংসতার শিকার মানুষগুলোর মন্ত্রী বানিয়েছে সেই খুনিদেরই। সে এখন থুতু ফেলেছে ৩০ লক্ষ শহীদের কবরে এবং থুতু ফেলেছে আমাদের দেশের মুখে। এরপর আমার আর এই মহিলার প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা অবশিষ্ট নেই।"

খালেদা জিয়ার সাথে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর সংশ্লিষ্টতা আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয় লিখেছেন,  "আমি ঘৃণা করি যে সে কোন সময় আমাদের জাতির প্রধানমন্ত্রী ছিলো। সে একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। সে বারংবার আইএসআই এজেন্টদের সাথে মিলিত হয়েছে এবং নির্বাচনগুলোতে আইএসআই থেকে টাকা নিয়েছে। তার বাংলাদেশ থেকে বিদায় হওয়া এবং তার ভালোবাসার পাকিস্তানে গিয়ে থাকা উচিৎ।"

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করায় সবাইকে প্রতিবাদ করার আহবান জানিয়ে জয় লিখেছেন,  
" আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি খালেদার বাড়ির সামনে প্রতিবাদ জানাতে যান। বিএনপি এবং তাকে দেখান যে তার পাকি প্রভুরা এবং জামায়াতি পোষা গুণ্ডারা আমাদের ভাই এবং বোনেদের যে হত্যা করেছে সেই স্মৃতি অপপ্রচার চালিয়ে মুছে ফেলা যাবে না। আমার সাথে একত্রে দাবি জানান, খালেদা পাকিস্তানে ফিরে যা।"

সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা দলের এক সভায় খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের শহিদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। এরপর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তাঁর বক্তব্যের সমালোচনা করছেন। এদিকে ২৫ ডিসেম্বর এক আলোচনায় সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটূক্তি করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীরা  'নির্বোধদের মত' মরেছে বলে ধৃষ্টতা দেখান। শহীদ দিবসে ফুল দেয়া নিয়েও গয়েশ্বর ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করেন। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত