সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২০:৩৮

কারাগারে আদালত খালেদার সুবিধার্থে: কাদের

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুবিধার জন্যে কারাগারে বিশেষ আদালতের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মামলাও নানা কৌশলে বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা চলছে। কিন্তু বিচারকাজ কারও জন্য থেমে থাকবে না।

বুধবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এক যৌথ সভার শুরুতে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের করণীয় ঠিক করতে আজকের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে যান না। অসুস্থতার কারণে কারাগারের মধ্যে যে আদালত, সেখানে যেতে তো অসুবিধা হবে না? তিনি বলেন, কারাগারে আদালত বসানোর বিষয়টিকে বিএনপির মহাসচিব সুস্পষ্ট সংবিধানের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন। সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন কী কারণে? সংবিধানের কোথায় লেখা আছে যে এই ধরনের আদালত বসতে পারবে না?

মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সব সময় বিএনপি এ রকম করতে থাকে। কোনো একটি অজুহাতে বিএনপি জনগণকে বিভ্রান্ত করে। বিএনপি খালেদা জিয়ার বিচার নিয়েও অপকৌশল নিয়েছে। দেশের মানুষের কাছে এটি গ্রহণযোগ্য হবে না।

তিনি আরও বলেন, নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থাকে সংবিধান লঙ্ঘনের সঙ্গে যারা তুলনা করে, তারাই সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। কে আদালতে গেল, কে গেল না, এটা আদালতের বিষয়। বিএনপি বিচার, আদালত ও সংবিধান মানে না। এটাই হচ্ছে বিএনপির বৈশিষ্ট্য, চরিত্র। এটি আদালতের বিষয়, আদালতই জবাব দেবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, যে বিষয়টি নিয়ে বিএনপি কথা বলেছে যে, কারাগারে মধ্যে আদালত বসানো যাবে না। এটি তো ইন্ট্রোডিউস (চালু) করেছেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। কর্নেল তাহেরকে জেলে আদালত বসিয়ে ফাঁসি দিয়েছিলেন। এটি কি বিএনপি ভুলে গেছে?

তিনি বলেন, কীভাবে কর্নেল তাহেরের ফাঁসি হয়েছিল? কোথায় হয়েছিল? এটি সংবিধানের কোথাও লেখা নেই যে জেলের মধ্যে বিশেষ প্রয়োজনে বিশেষ আদালতের ব্যবস্থা করা যাবে না।

খালেদা জিয়ার বিচারের বিষয়ে কাদের আরও বলেন, বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে যাওয়া-আসা করা সব সময় হয়তো সম্ভব না। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তিনি হাজিরা দিচ্ছিলেন না। এ অবস্থায় তাঁর হাজিরার সুবিধার্থে এই বিশেষ আদালতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অসুস্থ হলেও মামলা চলবে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা ১০ বছর বিলম্বিত হয়েছে। এই মামলা অনেক আগেই সেটেলড হয়ে যেত, এখানে সরকারের কোনো দোষ নেই।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত