ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি বলেছেন, আমি আওয়ামী লীগ হই নাই, মানুষ বলছে আমি নাকি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছি। এটা ভুল! তবে আওয়ামী লীগ হয়ে যেতেও আমার কোনো আপত্তি নাই।

সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম মাদরাসায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। “বেফাকুল মাদারিসিল অ্যারবিয়া বাংলাদেশ ও আল হাইয়াতুল উলইয়া-লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় মুমতাজ (জিপিএ-৫) প্রাপ্ত চট্টগ্রাম বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং কওমি মাদরাসার ঐতিহ্য ও অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায়” প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

আল্লামা শাহ আহমদ শফি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়ে আমাদেরকে সম্মান দেখিয়েছেন। তিনি ওয়াদা করেছেন সনদের স্বীকৃতি আমি দেবই দেব! দিয়ে দিয়েছেন। কারো কোনো কথার দিকে তিনি কর্ণপাত করেননি।

এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তোমরা এটার মূল্যায়ন করো। তোমরা অনেক বড় ডিগ্রি পেয়ে গেছো। একসময় তোমরা সরকারি মাদরাসায় চুপে চুপে পরীক্ষা দিতে। এখন সরকারি মাদরাসার ছাত্ররা এখানে এসে পরীক্ষা দিবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি সনদ দিয়ে কওমি উলামাদের সম্মানিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বক্তব্যের আল্লামা শফি বলেন, মানুষ বলাবলি করছে আমি নাকি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছি, মিথ্যা কথা বলতেছো-কমবক্ত। উনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাকে এমনে মহব্বত করে দিয়েছেন। আমিও আওয়ামী লীগ হয় নাই। এটা আপনাদের ভুল! আওয়ামী লীগ হই নাই। কথাবার্তা বলার সময় মিথ্যা কথা-সত্য কথা যাচাই করে বলবেন। কি করে বলতেছেন আমি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি আওয়ামী লীগ হয়ে যেতেও কোনো আপত্তি নাই। আওয়ামী লীগের মধ্যে এমন এমন মানুষ আছে যারা দ্বীনকে ভালবাসে, আমাদেরকে মোটা অংকের সাহায্য করে।

মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা নুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলা বেফাক সভাপতি মাওলানা ছলিমুল্লাহ। বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাতকানিয়া আসনের এমপি ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। উপস্থিত ছিলেন বেফাক মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, বেফাক মহাপরিচালক মাওলানা জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, বেফাক সহকারী মহাসচিব মুফতি নুরুল আমিন, হাটহাজারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ্য মীর কফিল উদ্দিন, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির প্রমুখ।