সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ অক্টোবর, ২০১৮ ২৩:৪৭

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাতে বারবার ‘ভুলে’ যাচ্ছেন ড. কামাল

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাতে বারবার ‘ভুলে’ যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের মত বৃহস্পতিবার জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আলোচনা সভায় তার এই ভুলে কথা জানান ড. কামাল।

তার বক্তৃতার সময় বিএনপির কর্মীরা কয়েক দফা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানান। একপর্যায়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, 'খালেদা জিয়ার বিষয় বলতে বারবার ভুলে যাই। আপনাদের দাবির সঙ্গে আমিও একমত।' তিনি এ বিষয়ে আর কোনো বক্তব্য দেননি।

এরআগে বুধবার সিলেটের সমাবেশে ড. কামাল হোসেন তার বক্তৃতায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি না জানিয়ে মাইক ছেড়ে চলে যাবার সময় মঞ্চ থেকে ঐক্যফ্রন্টের এক নেতা ড. কামাল হোসেনকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানানোর জন্য কানে কানে কথা বলেন।

ওই সময় ড. কামাল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রেখেছেন। তবুও আমি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বক্তৃতায় ড. কামাল হোসেন বলেন, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। ২০০৬ ও ২০০৭ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতা হিসেবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে দাবিগুলো করেছিলেন, তাদের দাবিও তাই। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিরোধী দলে থাকলে যে কথা বলছিলেন, সরকারে থাকলে তা থেকে ভিন্ন কথা বলবেন- এটা হতে পারে না।

ঐক্যফ্রন্টের নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে সভায় ড. কামাল হোসেন বলেন, 'দুটি মামলায় জামিন হয়ে যাওয়ার পরে তাকে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা জানাই।'

তিনি বলেন, 'পুরো দেশকে সুন্দরবন করা হচ্ছে। এটা বললে সুন্দরবনকেও ছোট করা হয়। এটা জঙ্গল হয়ে গেছে। জামিন হয়ে যাওয়ার পরও কেন ব্যারিস্টার মইনুল জেলে। এর জবাব দিতে হবে।' এ সময় সরকার ও আইনমন্ত্রীর সমালোচনাও করেন তিনি।

সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে আইনমন্ত্রীর উদ্দেশে ড. কামাল বলেন, তিনি যে হোটেলে ছিলেন তার সামনে থেকে এদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই যে ঘন ঘন আটক, মন্ত্রী হলে কি ন্যূনতম আইনও ভুলে যেতে হবে? এ সময় যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের বিষয়ে আইনমন্ত্রীকে সংসদে ব্যাখ্যা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহাবুব উদ্দিন খোকন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খান, সাবেক সভাপতি সানাউল্লাহ মিয়া, বিএনপির মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ড. ফরিদ উদ্দিন, আইনজীবী গরিবে নেওয়াজ, মতিলাল ব্যাপারী, বদিউল হক তালুকদার রানা, কে এম জাকির প্রমুখ।

উল্লেখ্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবির প্রথম দফায় রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ সকল ‘রাজবন্দির’ মুক্তির দাবি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত