সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ অক্টোবর, ২০১৮ ১৫:০১

খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাননি, দাবি ফখরুলের

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার পাননি বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

রায়ের প্রতিবাদ আগামীকাল মঙ্গলবার সারাদেশে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ফখরুল বলেন, এই মামলায় বিচার কাজ একতরফাভাবে হয়েছে। তিনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ হয়ে পড়ার পর আদালতে আসতে পারছিলেন না। তার বিচারের জন্য আদালত শিফট করা হয় কারাগারে। সেখানে তার বিচার কাজ শুরু করা হয়।

‘দেশনেত্রী প্রথম দিন কারাগারে এসে বলেন যে, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। আমার পক্ষে আর আদালতে আসা সম্ভব না। তারপরও তারা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে বিচার কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীকালে তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিনি এখন হাসপাতালে রয়েছেন। ওই অবস্থায় তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে’— বলেন ফখরুল।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া প্রথম দিনই আদালতে বলেছিলেন, আমি আর আসতে পারব না, আপনাদের যা খুশি তাই করেন। কারণ, তিনি জানতে, তাদের যা খুশি তাই করবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, কেউ অসুস্থ থাকা অবস্থায় কোনো মামলার রায় দেওয়া আইনবিরোধী। খুব পরিষ্কার করে বলা আছে, তিনি পুলিশ কাস্টডিতে আছেন। তাকে হাজির করেই রায় দিতে হবে। কিন্তু তা না করে তার অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন আদালত। আমরা মনে করি, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর জন্যই, আসন্ন নির্বাচনে তিনি যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, তার জন্যই তাকে এই ধরনের সাজানো মামলায় সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই সাজা প্রদান করা হয়েছে।

‘আমরা মনে করছি, এ রায় কোনো মতেই ন্যায় বিচার নয়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এবং এটা সম্পূর্ণভাবে একটা ফরমায়েশি রায় এবং সরকার যা চেয়েছে, সরকার যা বলছে, তাদের মন্ত্রীরা যা বলছে—সেটারই প্রতিফলন এই রায়ের মধ্যে রয়েছে। আমরা এই রায় প্রত্যাখান করছি’— বলেন ফখরুল।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ অন্যরা।

এরআগে সোমবার (২৯ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২ টায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত