সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ অক্টোবর, ২০১৮ ১৯:২৩

বিএনপির নেতৃত্ব হারানোর শঙ্কায় খালেদা-তারেক

গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বাদ দিয়ে বিএনপি যে সংশোধনী দিয়েছিল, তা গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন বিএনপির সংশোধনী গ্রহণ না করলে দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিএনপির নেতৃত্বে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

এদিকে বিএনপি বলছে, কে কী বলল, তাতে কিছু আসে–যায় না। এ বিষয়ে আরও অনেক পথ দেখছে দলটি।

বুধবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন এক আদেশ দেন।

এর আগে বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে মোজাম্মেল হোসেন নামের এক ব্যক্তি রিট আবেদন করেন। আজ সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি করেন আদালত। দণ্ডিত ব্যক্তিদের দলীয় কমিটিতে না রাখার যে বিধান বিএনপির গঠনতন্ত্রে ছিল, সংশোধনীতে তা বাদ দেওয়া কেন বেআইনি হবে না এবং সংবিধানের পরিপন্থী হবে না, তা-ও জানতে চেয়েছেন আদালত।

আদালতের আদেশের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘যেহেতু আদেশটি হয়েছে আমাদের আদালত বর্জনের দিন, আমরা ওই আদালতেও যেতে পারি, আপিলও করতে পারি। এটা তো শেষ আদেশ না, এরপর আপিল আছে বা এই আদালতে স্টে-ভ্যাকেটের (স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া) জন্য যেতে পারি—কেননা রিটে আমাদের পক্ষ করা হয়নি।’

বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন বলছেন, যে ব্যক্তি রিট পিটিশন করেছেন, তার এই রিট পিটিশন করার কোনো এখতিয়ার নেই। একটি রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র এখানে রিট পিটিশন মেইন্টেনেবল না। এখানে বিএনপির লোকজনকে পক্ষ করা হয়নি, বিএনপির অথরিটিকে পক্ষ করা হয়নি।

তিনি বলেন, ‘আমরা আদেশের কপি সংগ্রহ করছি, যদি দেখি যে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সে ক্ষেত্রে সেটাই নেব। অনেক সময় আদালতকে ভুল বুঝিয়ে অর্ডার নিয়ে নেওয়া হয়। এটা নিয়ে আমরা বসব, সিনিয়র আইনজীবীরা বসবেন, তারপর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের আগে এ বছরের ২৮ জানুয়ারি ৭ ধারা বিলুপ্ত করে বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির কাউন্সিলে এই সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিএনপির গঠনতন্ত্রে ৭ নম্বর ধারায় ‘কমিটির সদস্যপদের অযোগ্যতা’ শিরোনামে বলা আছে, ‘নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যেকোনো পর্যায়ের যেকোনো নির্বাহী কমিটির সদস্যপদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীপদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।’ তাঁরা হলেন: (ক) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৮-এর বলে দণ্ডিত ব্যক্তি। (খ) দেউলিয়া, (গ) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যক্তি, (ঘ) সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণার ১০ দিন আগে ৭ নম্বর ধারা বাদ দিয়ে বিএনপি সংশোধিত দলীয় গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। সূত্র: প্রথম আলো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত