সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ নভেম্বর, ২০১৮ ১১:১৩

জ্বালাও-পোড়াও কোনো আন্দোলন হতে পারে না: ড. কামাল

গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জ্বালাও-পোড়াও কোনো আন্দোলন হতে পারে না, ঐক্যবদ্ধভাবে থাকাটাই আন্দোলন। শুক্রবার রাজধানীর ইডেন কমপ্লেক্সে গণফোরাম আয়োজিত জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কামাল বলেন, সংলাপ চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আমাদের কথাগুলো প্রধানমন্ত্রীর কানে দিয়েছি। মানবেন কি মানবেন না, সেটি উনাদের ব্যাপার। আমাদের দাবির আন্দোলন চলবেই।

ঐক্যফ্রন্টের দাবি পূরণে প্রয়োজনে আরও সংলাপ হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের ঐক্য গড়ে উঠেছে স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের ওপর ভিত্তি করে। রাজনৈতিকভাবে ঐক্য থাকলে সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করা যায়।

এ সময় তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা একটি সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব।

তিনি বলেন, যারা দেশের মালিককে অস্বস্তিতে রাখতে চায়, তার বিরুদ্ধে ঐক্য থাকলে সেই শাসকদের অবস্থা খারাপ হয়।

সংবিধানকে কেন্দ্র করে ঐক্যবদ্ধভাবে আলাপ আলোচনা করলে সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, একদিনেই সব সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব না।

জনগণের ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে ড. কামাল বলেন, ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর দেশকে পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলেছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি৷ জনগণের মধ্যে ঐক্য থাকলে বাংলাদেশকে কেউ পিছিয়ে দিতে পারবে না।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর জনগণের স্বার্থেই এই ঐক্য তৈরি হয়েছে। এতটা বছর পার হয়েছে, কিন্তু জনগণ স্বাধীনতার সুফল পায়নি। সোনার বাংলা গড়া ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গড়তেই এই জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে।

প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও জনগণ কী পেল না পেল তার হিসাব কষতে হচ্ছে। যারা উন্নয়নের কথা বলেন, তারাই বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। কেউ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, আবার কেউ নিঃস্ব হয়েছে। তাই নতুন করে বাঁচতে জনগণের স্বার্থেই জাতীয় ঐক্য তৈরি করা হয়েছে। আগামী দিনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।

এদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে, এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

তাহলে সংকট সমাধানের সুযোগ কোথায়- এমন প্রশ্নে ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুযোগ আছে। তবে সেটি কী পদ্ধতিতে হবে, তা নির্ভর করবে আলোচনার ওপর। সবার ঐক্যমত্যের ওপর। সংবিধান অনুযায়ী সেনাবাহিনী রাখা যায়। আলোচনায় অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে একমত হওয়া যায়। কাজেই আমরা আশা করি, সরকার বিষয়টি ভাববে এবং ফের সংলাপে বসবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত