সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ জুলাই, ২০১৫ ১৭:১৯

ছাত্রলীগের সম্মেলন: একদিকে ভোটগ্রহণ, অন্যদিকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কার্যনির্বাহি সংসদের ২৮তম সম্মেলনে একদিকে ভোটগ্রহণের পাশাপাশি অন্যদিকে চলল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের মৌখিক ঘোষণা। 

এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে চ্যানেল আই অনলাইন। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সেক্রেটারি পদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে রবিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে। এরপর থেকে ভোটগ্রহণের মধ্যেই চলছে প্রার্থিতা প্রত্যাহার। মৌখিক ঘোষণা দিয়েই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক প্রার্থী।

ভোট গ্রহণের শুরুতে ভোট দিতে আসেন রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার কাউন্সিলরা। নির্বাচনে বিভিন্ন জেলার প্রায় ৩ হাজার কাউন্সিলররা ভোট প্রদান করবেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি পদে মনোনয়পত্র কিনেছিলেন ৮০ জন। তার মধ্যে ৬৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পায়। কিন্তু ৫৪ জনই নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন রোববার দুপুরের মধ্যে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ জন।

একই ঘটনা ঘটছে সাধারণ সম্পাদক পদের ক্ষেত্রেও। মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন ১৬২ জন। প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পান ১৪২ জন। কিন্তু দুপুরের মধ্যেই নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন ১২৪ জন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮ জন।

সভাপতি পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান নাজিম বলেন, আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম প্রত্যাহার করে নেব। আজ নিলাম।

তবে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পেছনে কিছু চাপের কথাও বললেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী। বললেন, সংগঠনের বাইরে গিয়ে নিজে কিছু করার সুযোগতো আর নেই। আমরা জানিই সিন্ডিকেটের অধীনে নির্বাচন হবে, প্রত্যাহার করা ছাড়া উপায় কী?

ভোটার সাঈদ রাসেল ভোট দিতে এসেছিলেন উত্তরা থেকে, তিনি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি। বললেন, ভোট দিতে এসেছি। আমরা চাই এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হোক।

নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের কাছে কেবলমাত্র মুখে বলেই নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন পদপ্রার্থীরা। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ, সেই সময় পর্যন্ত চলবে প্রার্থীতা প্রত্যাহার প্রক্রিয়াও।

ভোট চলাকালীন কী করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার হবে, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার সুমন কুণ্ডু বলেন, ৫ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। সেই সময় পর্যন্ত যে কোনো পদপ্রার্থী এসে আমাদের এখানে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে পারবেন। যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলো তার আবার জেতা কিসের?

ভোটকেন্দ্রে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর, সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বাবু, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া খান পান্না এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ সোহেল রানা টিপু।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটগ্রহণ সকাল ৯টায় শুরু হবার কথা থাকলেও, নানান কারণে সেটা শুরু হয় প্রায় ১১টার দিকে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে চলছে ভোটগ্রহণ। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার দুই হাজার ৯৭৫ জন।

শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৮তম সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত