সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৩:৩৪

ফখরুলের কথাবার্তা ব্যর্থ রাজনীতিকের অসংলগ্ন সংলাপ: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনের পর নির্বাচনেও ব্যর্থ বিএনপির নালিশ ছাড়া আর কোনো অবলম্বন নেই। মির্জা ফখরুল যেসব কথাবার্তা বলছেন, এটা আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ একজন রাজনীতিকের অসংলগ্ন সংলাপ।

শনিবার (৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের দেখা করতে যাওয়ার প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের প্রায় এক সপ্তাহ পর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের এক যৌথসভার আগে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশিদের কাছে নালিশ করা ছাড়া এখন তাদের আর অবলম্বন কী? ১০ বছর ধরে একটা আন্দোলন করতে পারেনি। জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু নির্বাচনেও তারা চরমভাবে ব্যর্থ। আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ, এখন তাদের আর অবলম্বন কী আছে?

তিনি বলেন, দেশের লোকের কাছে তো অনেক বলেছে, এখন বিদেশিদের কাছে তারা নালিশ করে যাচ্ছে। সেটা তাদের পুরানো অভ্যাস, পুরোনো অভ্যাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এখানে আমাদের কী বলার আছে।'

৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ দাবি করে সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটি উদাহরণ দিয়ে বলি। শুধু হাতিয়ার দিকে দেখুন। সেখানে সাংগঠনিকভাবে সমস্যা সংকুল। যেখানে বারবার আমরা চেষ্টা করেও নেতাদের এক করতে পারি নাই। এবার কঠিন ঐক্য ছিল, এক মঞ্চে সবাই। নির্বাচনের পরেও তারা ঐক্যবদ্ধ আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল ১৭ জন। শেষ পর্যন্ত কিন্তু থাকেনি, আমাদের নেতৃবৃন্দের প্রয়াসে আমরা বিদ্রোহকে প্রশমিত করতে পেরেছি। দৃশ্যমান তেমন কোনো বিদ্রোহ পরিলক্ষিত হয়নি। এটাই আওয়ামী লীগের বিজয়ের প্রথম সোপান।

প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে কি না- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে কাদের বলেন, সৈয়দ আশরাফের ব্যাপারটা আমাদের ওপর ছেড়ে দিন। নিশ্চয়ই আমাদের চেয়ে বেশি দরদ আপনাদের নেই। আমরা একসঙ্গে ছিলাম, আমাদের নেতাকর্মীদেরও এখানে অনুভূতি আছে।

তিনি বলেন, চিন্তা করতে হবে যে তিনি কতদিন ধরে হাসপাতালে ছিলেন। এ ধরনের কঠিন ব্যাধির পর তাকে এতদিকে টানা-হেঁচড়া করা উচিত হবে না। এসব অনেক কিছু বিবেচনা করেই আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এই প্রোগ্রামটা সাজিয়ে দিয়েছেন।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে যৌথসভায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, মাহাবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত