সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৮:৪৪

নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও পুলিশি হয়রানির নিন্দা ওসমানীনগর বিএনপির

ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি, তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান রব্বানী, ওসামানীনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা দায়ের ও বাসাবাড়িতে পুলিশি তল্লাশির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

তারা বলেন, ওসমানীনগর থানা পুলিশ আওয়ামী লীগের ইন্ধনে সম্পূর্ণ বেআইনি ও অন্যায়ভাবে ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মোতাহির আলী চেয়ারম্যান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস.টি.এম ফখর উদ্দিন চেয়ারম্যান, সহসভাপতি সৈয়দ কয়ছর আহমেদ চেয়ারম্যান, যুগ্ম সম্পাদক, ভাইস চেয়ারম্যান গয়াছ মিয়া, শিক্ষা বিয়ষক সম্পাদক আবু কয়েছ চৌধুরী, গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম, দয়ামীর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইমাদ উদ্দিন লিলু, কামাল আহমদ পারভেজ, হাদিস খান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রকিব আলী, আতিকুল আলম, শরীফ আহমদ, কমরু মিয়া, শরীফ আহমদ চৌধুরী, সাজন আলী, আব্দুল মন্নান, আব্দুল কালামকে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক একটি বৈঠক থেকে গ্রেপ্তার করে এবং আরও ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ওসমানীনগর থানায় একটি মিথ্যা ও বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও কমিটি পুনর্গঠনের লক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৈয়দ কয়ছর আহমদের বাড়িতে সভা আহ্বান করা হয়, যা আগামী ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতির লক্ষে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার ও প্রত্যেকটি ইউনিয়নের বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠন কার্যক্রমের একটি অংশ। কিন্তু সভার শেষ পর্যায়ে হঠাৎ করে ওসমানীনগর থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত হয়ে সবাইকে ঘেরাও করে রাখে এবং শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মামলার এজাহারে যা উল্লেখ রয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাচ্ছি।

তারা বলেন, বিএনপি একটি নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক সংগঠন। বিএনপি কখনও ধ্বংসাত্মক কিংবা হিংসাত্মক কার্যকলাপে বিশ্বাসী নয়। আমরা ইতিমধ্যে লক্ষ্য করছি গোয়ালাবাজার ছাত্রদলের কর্মীসভা, উসমানপুর ইউনিয়নের ভেড়াখালে বিএনপির কর্মীসভা পুলিশ পণ্ড করে দেয়। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমাতাসীন হওয়ার পর থেকে ওসমানীনগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি পুলিশ। একের পর এক মিথ্যা মামলা ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে পুলিশি তল্লাশি ও হয়রানি অব্যাহত রয়েছে, যা ওসমানীনগরে সকল পেশা-শ্রেণীর মানুষ অবহিত। ওসমানীনগর একটি শান্তিপ্রিয় এলাকা। পুলিশ একটি মহলের যোগসাজশে একের পর এক গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা দিয়ে ওসমানীনগরকে এক অশান্ত ও ভীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখির দাড় করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতাকর্মী ও ওসমানীনগরবাসী চরম আতঙ্কিত, হতাশাগ্রস্ত।

নেতৃবৃন্দ সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক চেরাগ আলী চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা সৈয়দ এনামুল হক (এনাম পীর) সহ নেতৃবৃন্দের বাড়ীতে পুলিশী তল্লাশি ও পরিবারের লোকজনের সাথে অসদাচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জননেতা এম ইলিয়াস আলীর তিলে তিলে ঘাম ঝরা-বিএনপিকে ধ্বংস করা কিংবা জনবিচ্ছিন্ন করা সম্ভব নয়। সরকার এম ইলিয়াস আলীর জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে এবং রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে দীর্ঘ ৬ বছরের অধিক সময় ধরে গুম করে রেখেছে। আওয়ামী লীগ মনে করছে ইলিয়াস আলীকে গুম করে, বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা ও পুলিশী হয়রানীর মাধ্যমে এ অঞ্চলের বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে, কিন্তু বাস্তব বড় কঠিন ও নির্মম। অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন যত বেগবান হবে বিএনপি তত শক্তিশালী হবে।

নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং এম ইলিয়াস আলীকে জনতার মাঝে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত