ক্রীড়া প্রতিবেদক

১১ নভেম্বর, ২০১৫ ১৬:৪৮

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে জিম্বাবুয়ের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ

১৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটির পরও মিডল অর্ডারের ছন্দহীনতায় দলীয় সংগ্রহ ৩০০ ছাড়াল না। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আক্ষেপ বলতে এটুকুই। না হলে জিম্বাবুয়ের সামনে হোয়াইওয়াশ এড়াতে বড় চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের করা ২৭৭ রান টপকে যাওয়া  আগের দুই ম্যাচের বিবেচনায় জিম্বাবুয়ের পক্ষে বেশ কঠিনই।

হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে নেমে শেষ ম্যাচেও আগে ব্যাটিং। তবে এবার অবশ্য টসে জিতে মাশরাফি নিজেই বেছে নিলেন তা। শুরুটাও হল দারুণ।

সৌম্যের জায়গায় খেলতে নেমে ইমরুল তামিমের সাথে গড়ে তুললেন ১৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে জুটি আক্রমনাত্মক ছিলেন ইমরুলই বেশি। ৯৫ বলে আউট হবার আগে করলেন ৭৩ এরমধ্যে ৬টি চারের পাশাপাশি ছিল ৪টি ছক্কার মার। তবে আক্রমনাত্মক খেলার পাশাপাশি ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছেন তিনি। চিগুম্বুরার বলে পরিষ্কার লেগ বিফোরের হাত্থেকে বাঁচার পর সিকান্দার রাজার বলে পরিষ্কার ক্যাচ আউট দেন নি আম্পায়ার আলীম দার।  তবে সুযোগ পেয়েও আবারও তিন অংকের ঘরে পৌছার সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি। একই বোলারের বলে ডাউন দ্যা উইকেটে খেলতে এসে কাটা পড়েন ৭৩ করে।

৭৩ রান করে আউট হন তামিমও। তাকে শিকার করেন অবশ্যই ক্রেমার। ৩ নম্বরে খেলতে নামা মুশফিক খেলছিলেন দারুণ। ২৫ বলে ২৮ রান করে তিনিও স্ট্যাম্পিং হয়ে গেলে ৩০০ রানের আশা কমতে থাকে বাংলাদেশের। আগের দুই ম্যাচ রান না পাওয়া লিটন ও রিয়াদ ইনিংস মেরামত করে এগোচ্ছিলেন ভালোই তবে ক্রেমারের বলে  ১৭ রান করা  লিটন দাশকে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরত পাঠান বদলি ফিল্ডার মাসাকাদজা।

এরপর সাব্বির ১ ও নাসির ০ রান করে একই কায়দায় আউট হয়ে গেলে বড় সংগ্রহ করার আশা শেষ হয়ে যায়। ২৩৬ রানের মাথায় বিপদ বাড়তে পারত আরও। মাশরাফির সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরেই গিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্টাম্পে আঘাত করার আগে জিম্বাবুয়ের উইকেট রক্ষক চিবাবা নিজেই হাত দিয়ে বেল ফেলে দিয়েছেন। রিয়াদকে থার্ড আম্পায়ার নট আউট ঘোষণা করতেই অবশ্য ঘোর আপত্তি তোলে জিম্বাবুয়ে। তাদের দাবি চিবাবা আগে বেল ফেলে দিলেও পরে বল সংগ্রহ করে স্ট্যাম্প উপড়েছেন ফলে এটি আউট হবে। কিন্তু আম্পায়াররা জানান বল ডেড হবার পর বড় স্ক্রিনে নিজের কান্ড দেখেই পরে স্ট্যাম্প উপড়েছেন চিবাবা কাজেই তা আউট হতে পারে না। নাটকীয়তায় খেলে বন্ধ থাকে মিনিট পাঁচেক।

জীবন পাওয়া সেই রিয়াদের কল্যানেই দলীয় সংগ্রহ ২৭৭ দাঁড়ায়। ৩৯ বলে  ৫১ রান করে শেষ ওভারে ওই রান আউটই হয়েছেন রিয়াদ।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে ক্রেমার ও জোয়াঙ্গে ২টি করে এবং পানিয়াঙ্গারা, রাজা এবং ওলার একটি করে উইকেট নেন।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত