নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ এপ্রিল, ২০১৫ ২০:২৪

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত : ডিএসএ'র নেতৃত্ব থাকছে এডহক কমিটি

সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃত্ব নিয়ে আইনী লড়াইয়ে অবশেষে শেষ হাসি হাসলেন সিলেট ডিস্ট্রিক্ট ফুটবল এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম। আইনী আদেশের মাধ্যমে শেষপর্যন্ত নবগঠিত এডহক কমিটিই সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থায় বহাল থাকছে।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনের ফুল বেঞ্চ দীর্ঘ একঘন্টা শুনানী শেষে ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টের দেয়া আদেশকে স্থগিত করেন। এসময় প্রধান বিচারপতির সাথে ছিলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক।

উল্লেখ্য, ১৩ এপ্রিল হাইকোর্র্টের বিচারপতি কাজী রেজা উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত এডহক কমিটিকে চার মাসের জন্য স্থগিত ঘোষনা করে আদেশ দিয়েছিলেন।

পাশাপাশি আদালত জেলা ক্রীড়া সংস্থার স্থগিতকৃত নির্বাচন তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটি বাতিল করে এড-হক কমিটি গঠনের বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল ঐ রিটটি করেছিলেন।

তবে ২৩এপ্রিল প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ১৩ এপ্রিলের আদেশকে স্থগিত ঘোষনার ফলে সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃত্বে এডহক কমিটির বহাল থাকাটাই নিশ্চিত হলো।

মাহি উদ্দিন সেলিমের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন এটর্নী জেনারেল মাহবুব এ আলম, সুব্রত চৌধুরী, শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ, মোহাম্মদ মাহবুব আলী এবং ব্যারিস্টার দীপা। অন্যদিকে ফেরদৌস চৌধুরী রুহেলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার এম এ আমিন উদ্দিন, এ বি এম আলতাফ হোসেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব শিবনাথ রায় স্বাক্ষরিত এক পত্রে সিলেটের জেলা প্রশাসককে সভাপতি, পুলিশ সুপারকে সহ-সভাপতি, মাহি উদ্দিন সেলিমকে সাধারণ সম্পাদক, সিরাজ উদ্দিনকে কোষাধ্যক্ষ এবং বিজিত চৌধুরী, এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, নাজনীন হোসেনকে সদস্য করে ৭ সদস্যের এডহক কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত এডহক কমিটি ১১ এপ্রিল দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরপরই সিলেট জেলা ক্রীড়া ভবনে আয়োজন এক সংবাদ সম্মেলনেরও আয়োজন করেছিল।

সংবাদ সম্মেলনে এডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম জানিয়েছিলেন, তিন মাসের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনই তাদের লক্ষ্য।

দায়িত্ব গ্রহনের একদিন পরই সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার বাতিলকৃত নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস চৌধুরী রুহেলের রিটের কারণে আবারও জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃত্বে বহাল হয় বাতিলকৃত নির্বাহী কমিটি। তবে ১০ দিন পর প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এর আদেশের মাধ্যমে জেলা ক্রীড়া সংস্থার চেয়ার টানাটানি নিয়ে আপাত নিস্পত্তি হলো। শেষপর্যন্ত আইনী লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার সুবাদে আবারও নেতৃত্বে ফিরছে নবগঠিত এডহক কমিটি।

এই ব্যাপারে ঢাকা থেকে ফোনে আলাপকালে নবগঠিত এডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম বলেন, সত্য সবসময় সত্য, ন্যায়ের জয় হয়েছে। মাহি উদ্দিন সেলিম বলেন, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থায় অন্যায় কিছু হোক সেটা আমারও কাম্য নয়। মহামান্য আদালতের রায়ে শেষপর্যন্ত সত্য ও ন্যায়ই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত