স্পোর্টস ডেস্ক

০৬ জুলাই, ২০১৮ ১২:৫৬

প্রথম কোয়ার্টারের লড়াইয়ে মুখোমুখি ফ্রান্স-উরুগুয়ে

দুই দলই তারকায় ভরা। যেন তেন তারকা নয়, ফুটবল শৈলী দিয়ে এই সময়ের দর্শকদের মন কেড়ে নেওয়ার কাজটা অনেক আগেই সেড়েছেন তারা। একদিকে লুইস সুয়ারেজ, এডিনসন কাভানির মতো তারকা। অন্যদিকে কিলিয়ান এমবাপে, উসমানে ডেম্বেলে, আয়োইন গ্রিজম্যানরা।

রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে তাই ধ্রুপদী লড়াইয়ের বার্তা। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় সুয়ারেজ-কাভানিদের উরুগুয়ে মুখোমুখি হবে গ্রিজম্যান-এমবাপেদের ফ্রান্সের।

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বেশ দারুণ ছন্দেই আছে লাতিন আমেরিকার দেশ উরুগুয়ে। গ্রুপ ‘এ’ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোর টিকিট পেয়েছিল অস্কার তাবারেজের শিষ্যরা। দ্বিতীয় রাউন্ডে রোনালদোর পর্তুগালকে নকআউট করে পুরো উরুগুয়ে এখন দারুণ আত্মবিশ্বাসী।

তাই শক্তিশালী ফ্রান্সের বিপক্ষে নামার আগে তাই দারুণ উচ্ছ্বসিত পুরো উরুগুইয়ান শিবির। লক্ষ্য এখন পর্তুগালের মতো আরেক ইউরোপিয়ান জায়ান্ট ফ্রান্সকেও বিদায় করে দিয়ে নিজেদের ইতিহাসের তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া।

এদিকে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্সও আছে এবার দারুণ ছন্দে। তারাও নকআউট পর্বে পা দিয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই। মেসির আর্জেন্টিনাকে বিদায় করে দলের মধ্যে এখন আরও একবার বিশ্বকাপে হাত রাখার স্বপ্ন বুনছে গোটা ফরাসি শিবির। অনুশীলন পর্বগুলোতেও ফরাসি দলের খেলোয়াড়দের আনন্দ উৎসব দেখলে বোঝা যায়, কতটা নির্ভার এখন তারা।

তবে তাদের এই নির্ভয়কেই দুঃস্বপ্নে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর এখন উরুগুয়ে শিবির। শক্তিশালী ফ্রান্সকে বাড়ির টিকিট ধরিয়ে দিতেই মরিয়া সুয়ারেজ-গোডিনরা। যদিও ইনজুরির কারণে এখনও অনিশ্চিত দলের আরেক সেরা তারকা এডিনসন কাভানির মাঠে নামা।

যে একাদশই মাঠে নামুক না কেন, তা দিয়েই ফ্রান্সকে ঘায়েল করতে ছক সাজাচ্ছেন অভিজ্ঞ কোচ অস্কার তাবারেজ। কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে তাবারেজ জানান, ‘ফ্রান্স দলের শক্তিশালী দিক হচ্ছে তাদের আক্রমণভাগ। গ্রিজম্যান, এমবাপে সঠিক সময়ে জ্বলে উঠলে আমাদের পরবর্তী পর্বে ওঠা সত্যিই বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। তবে আমরা তা হতে দিচ্ছি না।’

এদিকে গোডিন আর গিমেনেজের নেতৃত্বে গড়া উরুগুয়ের রক্ষণ সত্যি চোখ ধাঁধানো। এখন পর্যন্ত খেলা চার ম্যাচে উরুগুয়ে গোল খেয়েছে মোটে ১টি। ফ্রান্স আক্রমণভাগ থামানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে দলের মিডফিল্ডার দিয়েগো ল্যাক্সালত ‘এএফপি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘সবসময়ই চেষ্টা করে যাই, যাতে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়েরা আমাদের উপর কোন চাপ সৃষ্টি করতে না পারে। এটাই তাদের খেলা নষ্ট করে দেয়। ফ্রান্সের বিপক্ষেও আমরা তাদের আক্রমণভাগকে এভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা করবো। মাঠের খেলায় এটি খুবই ভাল একটি হাতিয়ার।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত