০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:৫৫
ম্যাচটা গোলশূন্য ড্রয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। পাকিস্তান-বাংলাদেশ দুই দলের কোনোটিই জাল পর্যন্ত যেতে পারছিল না। অবশেষে এলো কাঙ্খিত গোল। ম্যাচের অন্তিম মূহুর্তে।
নির্ধারিত সময়ের খেলা তখন ৫ মিনিট বাকি। বিশ্বনাথ ঘোষের থ্রো থেকে বল পেয়ে তাতে মাথা ছুঁইয়ে দেন তপু বর্মন। পাকিস্তানি গোলরক্ষক কিছু বুঝে উঠার আগেই বল জালে।
এরপরই অন্যরকম উদযাপন বাংলাদেশের। অভিনব সেই উদযাপন নিয়ে আলোচনা চলছে বিভিন্ন মাধ্যমে।
গোলদাতা তপু বর্মন জার্সি খুলে ফেলেছিলেন। দৌঁড়ে গিয়ে মাঠের এক কোণে হাঁটু গেড়ে বসলেন। ততক্ষণে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে গেছেন তার সতীর্থদের কয়েকজন। তপু গুলি করার ভঙ্গি করলেন, সঙ্গে সঙ্গে মাঠের মধ্যে পড়ে গেলেন ওই সতীর্থরা, যেন গুলি লেগেছে তাদের বুকে।
তপু বর্মন-জামাল ভুঁইয়াদের এমন উদযাপন আলোচনাটা শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত গড়ায়। তপু জানালেন ডিফেন্ডার ওয়ালি ফয়সালের পরামর্শে এমন করেছেন।
‘‘এটা ওয়ালি ভাইয়ের মাথা থেকে এসেছে। তিনি বললেন, তুমি গুলি করো আর আমরা পড়ে যাব। আমি তাই করলাম।’’
প্রতিপক্ষ পাকিস্তান বলেই সম্ভবত এমন উদযাপন তাদের; যেন প্রতীকী মুক্তিযুদ্ধ!
গ্রুপ ‘এ’ থেকে ভুটান ও পাকিস্তানকে হারালেও এখনো নিশ্চিত নয় বাংলাদেশের সেমিফাইনাল। শনিবার শেষ ম্যাচে যদি ভুটানকে হারায় পাকিস্তান, আর নেপালের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ, তাহলে তিন দলের পয়েন্ট দাঁড়াবে সমান ৬। সেক্ষেত্রে গোল ব্যবধানই মুখ্য হয়ে যাবে সেমিতে যাওয়ার লড়াইয়ে।
আপনার মন্তব্য