ক্রীড়া প্রতিবেদক

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২৩:১৮

রশিদকে সামলাতেই ছয়ে খেলেছেন ইমরুল

এভাবে ডাক পাবেন হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি ইমরুল কায়েস। হঠাৎ বিসিবির অনুশীলন ম্যাচের দল থেকে এশিয়া কাপের স্কোয়াড। খুলনা থেকে ঢাকা। পরে দুবাই হয়ে আবু ধাবি। ভ্রমণক্লান্তি, প্রতিকূল পরিবেশ সবকিছুকে এক পাশে রেখে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইমরুল ৭২ রানের হার না মানা যে ইনিংসটা খেললেন সেটার বিশেষণ এক কথায় হতে পারে ‘অবিশ্বাস্য’।

রোববার প্রচণ্ড গরমে আফগানিস্থানের বিপক্ষে আবুধাবিতে ম্যাচ জিতে আসার পর সোমবার অনুশীলন ছিল না বাংলাদেশ দলের। ছুটি পেয়ে দুপুরে ঘুরতে বের হয়েছিলেন ইমরুল। বিকেলে হোটেলে ফিরে জানান ম্যাচ খেলার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই খুলনা-ঢাকা-দুবাই হয়ে আবুধাবি এসেছিলেন।

তবে নতুন পজিশনের কথা জেনেছেন অনেক পরে,  ‘আমি আসলে প্রস্তুত ছিলাম, আমি ম্যাচ খেলবো। ছয় নম্বরে ব্যাটিং করবো এটা আমি জিনেছি টিম মিটিংয়ে ম্যাচের দিন সকালে।’

ইমরুলকে ছয়ে নামানো হয় রশিদ খানের কথা ভেবেই। এমনিতে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে কিছুটা দুর্বল রশিদ। ইমরুলের তাকে চেনাও আছে বেশ। এই ফাটকা থেকেই তাকে পাঠানো হয় ছয়ে, ‘বলা হয়েছিল ওখানে রশিদ খান-মুজিব থাকবে। দুইজন স্পিনারকে খেলার জন্য। যেহেতু বিপিএলে রশিদ খান আমার টুর্নামেন্টে খেলেছে। ওই হিসেব করে কোচ আমাকে বলছিল, তুমি একটু হিসেব করে খেলতে পারবা। এটাই আমার মাথায় ছিল রশিদ খানকে ফেস করতে হবে।’

ছয়ে নেমে দারুণ সাফল্য ইমরুলের। দলের বিপর্যয়ে ৬ষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ১২৮ রানের রেকর্ড জুটি গড়েছেন। শেষ পর্যন্ত টিকে ৮৯ বলে ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের ৩ রানের জয়ে রেখেছেন পার্শ্ব নায়কের ভূমিকা।

ওপেনার হয়েও এত নিচে খেলায় কোন অস্বস্তি দেখছেন না ইমরুল। বরং ওপেনাদেরই নাকি সব তালিম ধাতস্থ করতে হয়, ‘আমার মনে হয় ওপেনিং ব্যাটসম্যানরা যখন বড় ইনিংস খেলতে থাকে, তখন তারা সব পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করার মতো উপযুক্ত হয়ে উঠে। কেননা বড় ইনিংসে খেলতে হলে ওপেনার ব্যাটসম্যানদের শুরুতে, মাঝে এবং ডেথ ওভারে খেলতে হয়। এ কারণে আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় না ৬ কিংবা ৪ নম্বর নিয়ে কোন সমস্যা আছে।’

ওপেনিংয়ে খেলতে পারেন, তিনেও খেলেছেন। এবার ছয়ে খেলে পেলেন সাফল্য। ইমরুলের সামনে কি নতুন জানালাও খুলে গেল? ঠান্ডা মাথার এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিজের সব দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে,  ‘এটা আসলে আমার বিষয় না। এটা হচ্ছে ম্যানেজমেন্টের বিষয়। ম্যানেজমেন্ট যদি মনে করেন যে আমাকে এই জায়গাগুলোতে খেলাবে, আমি প্রস্তুত থাকবো। সমস্যা নাই। ’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত