ক্রীড়া প্রতিবেদক

২৬ অক্টোবর, ২০১৮ ১২:৪৩

হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য বাংলাদেশের, আসতে পারে ব্যাপক পরিবর্তন

একটা সময় জিম্বাবুয়ে ছিল বাংলাদেশের অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষ। সে সময় বাংলাদেশকে হেসে-খেলেই হারাত হিথ স্ট্রিক-গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারদের জিম্বাবুয়ে। দলটির বিপক্ষে প্রথম দুটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হোয়াইটওয়াশই হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের মাঠে গিয়ে ৩-০ এবং পরের বছর ঘরের মাঠে একই ব্যবধানে। তবে আগের জিম্বাবুয়ে আর এখনকার জিম্বাবুয়ের মধ্যে রয়েছে অনেক পার্থক্য। প্রথম দুই সিরিজেই হোয়াইটওয়াশ হওয়া সেই বাংলাদেশ গত ১১ বছরে তিনবার ধবলধোলাইয়ের লজ্জা দিয়েছে জিম্বাবুয়েকে।

আজ দুপুরে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে শুধু নিয়মরক্ষার ম্যাচে পরিণত হয়েছে। তারপরও এই ম্যাচ নিয়েও বাংলাদেশ শিবিরে চলছে অনেক ভাবনা। কারণ মূল লক্ষ্য যে হোয়াইটওয়াশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এখন মিশন ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতা। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য অন্তত শেষ ম্যাচটা জিতে একটু সম্মান বাঁচানো। তাই জয় চাইবে জিম্বাবুয়ে। কারণ বাজে একটা বছর কাটানো দলের জন্য সান্ত্বনার একটা জয়ও যে হতে পারে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণা।

এ ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিলটন মাসাকাদজা একটা কথা বলেছিলেন, যে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে বরাবরই ফেভারিট। কথাটার ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন তিনি। অনেক ম্যাচ খেলার কারণেই অন্য প্রতিপক্ষের তুলনায় বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের জয়ের সুযোগটা বেশি থাকে।

তবে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিয়ে মাসাকাদজার কথাকে ভুল প্রমাণ করেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও বাংলাদেশ শিবিরে চলছে অনেক ভাবনা। এর বাইরে বেশ কিছু ক্রিকেটারকে 'বাজিয়ে দেখার' চিন্তাটা কাজ করছে ভালোভাবেই। বাংলাদেশের সিরিজ জয় নিশ্চিন্ত হয়ে গেলেও আসতে দলে পারে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন।

সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল চোটের কারণে দলে নেই। ক্রিকেটীয় শক্তি-সামর্থ্যে বাংলাদেশও এখন জিম্বাবুয়ের চেয়ে অনেকখানিই এগিয়ে থাকা দল। এই সিরিজ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তাই দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি টিম ম্যানেজমেন্টকে। অভিষেক করানো হয়েছে ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে, দীর্ঘদিন পর দলে ফেরানো হয়েছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে। দুই ম্যাচে খেলানো হয়েছে একই একাদশ। ফলে আগে থেকেই স্কোয়াডে থাকা চার খেলোয়াড়ের মাঠে নামাই হয়নি। সিরিজের মাঝপথে এরপর দলে নেওয়া হয়েছে সৌম্য সরকারকে। একাদশের বাইরে থাকা চার ক্রিকেটার ও সৌম্য- এই পাঁচজনকে নিয়েই কাল চলেছে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। সেক্ষেত্রে আজকের ম্যাচে এই পাঁচজনের মধ্যে এক বা একাধিক ক্রিকেটারকে মাঠে দেখা যেতেই পারে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত