ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৪ নভেম্বর, ২০১৮ ২০:০৯

‘ভালো লাগা’ থেকেই মাঠে মিরাজের সিজদাহ

মুসলিম খেলোয়াড়রা প্রায়ই দারুণ কোন প্রাপ্তির উদযাপন করে থাকেন সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে। সেক্ষেত্রে মাঠেই সিজদাহ দিয়ে থাকেন তারা। এদিন প্রায় আট বছর পর সাদা জার্সিতে সেঞ্চুরি করে সিজদা দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে তার সঙ্গে সিজদাহ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। তাতেই প্রশ্ন জাগে কেন সিজদাহ দিলেন মিরাজ?

মাহমুদউল্লাহ যখন সেঞ্চুরি করেন মিরাজ তখন ২৭ রানে উইকেটে। দলের জন্য খুব কার্যকরী রান হলেও নিজের উদযাপনের জন্য যথেষ্ট ছিল না। তাই স্বাভাবিকভাবেই সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। উত্তরটা দিয়েছেন বেশ জোরালো যুক্তি দিয়েই, ‘আমার খুব ভালো লাগছে যে ব্যাটসম্যানরা রানে ফিরেছে। ব্যাটসম্যানরা ডমিনেট করেছে। এই খুশিতেই আসলে সিজদাহ দেওয়া।’

‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা অনেক দিন ধরেই কিন্তু রান করতে পারছিল না। এই ম্যাচটায় কিন্তু আমাদের অনেক প্রাপ্তি ছিল। মুশফিক ভাই  ডাবল করল, মুমিনুল ভাই দেড়শ করল। রিয়াদ ভাই সেঞ্চুরি, মিঠুন ভাই পঞ্চাশ করল, আমিও করলাম একটা পঞ্চাশ। সবমিলিয়ে আসলে খুব ভালো লাগছে। সবার অনুভূতি কাজ করেছিল। নিজের অনুভূতি ধরে রাখতে পারিনি। তাই রিয়াদ ভাইয়ের সঙ্গে সিজদাহ করেছি।’ – যোগ করে আরও বলেন মিরাজ।

মিরাজের কথার যথার্থতাও অনেক। মিরপুর টেস্টের আগের আটটি ইনিংসে দলীয় স্কোর দুইশত করতে পারেননি টাইগাররা। সর্বোচ্চটা স্কোরটা ছিল ১৬৯ রানের। আর মাঠে সবসময় হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত থাকেন মিরাজ। তেমনি সতীর্থদের রাখার চেষ্টা করেন। আর কারণেই দলের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে তাকে ভেবে থাকেন অনেকেই। তাই তার কাছ থেকে এমন কিছু নতুন কিছু নয় টাইগারদের জন্য।

দুদিন আগেই মিরাজকে ফানি ক্যারেকটার বলেছিলেন মুশফিকুর রহীম। বলেছিলেন মাঠে তার মজাদার কাণ্ডের কথা। তার বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘ও যখন মাঠে নামে তখন অর ভাব দেখে মনে হয়েছিল যেন ও দুইশত রানে ব্যাট করছে আর আমি মাত্র উইকেটে এসেছি। আমাকেই নানা পরামর্শ দিতে থাকলো।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত