স্পোর্টস ডেস্ক

০৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৪:৩৪

গুরুর মৃত্যুতে স্তব্ধ শচীন

নতুন বছরের শুরুতেই ভারতীয় ক্রিকেটে শোকের আবহ। চলে গেলেন রমাকান্ত আচরেকার। ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহ রয়েছে অথচ আচরেকারের নাম শোনেননি এমন মানুষ সত্যিই বিরল। শচীন টেন্ডুলকার, বিনোদ কাম্বলি, প্রভীন আমরেদের মতো নক্ষত্রদের তিনি উপহার দিয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটকে। রোগে ভুগছিলেন অনেক দিন ধরেই। বুধবার বিকেলে তার মৃত্যুর হয়েছে।

বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। ১৯৩২ সালে জন্ম আচরেকরের। ভারতীয় ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছিলেন দ্রোণাচার্য পুরস্কার। পদ্মশ্রী সম্মানেও ভূষিত হন তিনি। মুম্বাইয়ের সারদাশ্রম বিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে শচীন, কাম্বলিদের ক্রিকেট পাঠ দিয়েছিলেন। পরে তাদেরই বিস্ফোরক উত্তরণ ঘটেছিল ক্রিকেটবিশ্বে।

বয়সজনিত নানা সমস্যায় বেশ কয়েক বছর ধরেই ভুগছিলেন শচীনের গুরু। মাঝেমাঝেই শচীন গিয়ে দেখা করে আসতেন তার সঙ্গে। ইদানীং শরীর বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। বুধবার বিকেলে এই অকৃতদার মানুষটির এক আত্মীয়া সংবাদ মাধ্যমকে তার মৃত্যুর খবর দেন।

২০১৩ সালে স্ট্রোক করার পর থেকেই তার চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছিল। ছিল বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যাও। তার শিষ্যদের মধ্যে শচীন ছাড়াও ভারতের জাতীয় দলে খেলেছেন অজিত আগারকার, বিনোদ কাম্বলি, রমেশ পাওয়ার, প্রবীন আমরিরা।

আচরেকারের মৃত্যুতে তার সেরা শিষ্য শোকে স্তব্ধ। শচীন যে ছেলেবেলার সেই দিনগুলির কথা ভুলে যাননি। চোখ বুঝলেই আচরেকারের সামনে তার ছুটোছুটি আর টেকনিক নিয়ে কাজ করার সেই স্মৃতি ভেসে ওঠে।

'তার থেকেই আমার ক্রিকেটের হাতেখড়ি। তার অবদান বলে শেষ হওয়ার নয়। স্যারের তৈরি করা ভিতে আমি দাঁড়িয়ে আছি। তিনি আমাদের সোজা ব্যাট চালাতে শিখিয়েছিলেন। জীবনও।'

'এই তো কয়দিন আগে, গত মাসেই স্যারের সঙ্গে দেখা করে আসলাম। উনার সঙ্গে অনেকক্ষণ সময় কাটিয়েছি। সঙ্গে ছিল উনার আরও কয়েকজন ছাত্র। উনি আমার দিকে তাকিয়ে একটু হেসেছিলেন। আমার জীবনে তার অবদান ভাষায় বর্ননা করা যাবে না। তিনি ভিত গড়ে দিয়েছিলেন, যার ওপর আমি দাঁড়িয়ে আছি।'

ক্রিকেট গুরু রামাকান্ত আচারেকারের মৃত্যুর খবর পেয়ে এভাবেই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার। গুরুর মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত