ক্রীড়া প্রতিবেদক

০২ জুলাই, ২০১৯ ২৩:৩৩

হারে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

বিশ্বকাপের ৪০তম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জিতলে সেমিফাইনালে খেলার আশা জাগিয়ে রাখতে পারবে, এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে ২৮ রানের হারে স্বপ্নভঙ্গ হয় টাইগারদের। ভারতের করা ৩১৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ  ৪৮ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে গুঁটিয়ে যায় ২৮৬ রানে।

৩১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দশম ওভারে দলীয় ৩৯ রানে মোহাম্মদ সামির বলে বোল্ড হয়ে যান তামিম ইকবাল। এরপর দলীয় ৭৪ রানে হার্দিক পান্ডের বলে কোহলির হাতে ধরা পড়ে ফিরেন সৌম্য সরকার। ৩৮ বল থেকে তিনি করেন ৩৩ রান। তৃতীয় উইকেটে মুশফিক-সাকিব জুটি ভালোই খেলছিলেন। তবে দলীয় ১২১ রানে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মুশফিক। ২৩ বল থেকে ২৪ রান করা মুশফিক। এরপর লিটনের শুরুটাও খারাপ হয়নি। তবে দলীয় ১৬২ রানে ফিরলেন লিটনও (২২)।

পঞ্চম উইকেটে মোসাদ্দেক জুটি বেঁধেছিলেন সাকিবের সঙ্গে। তিনিও ফিরে যান দলীয় ১৭৩ রানে। এবার ৬ রানের ব্যবধানে ফিরেছেন সাকিবও। ৬৬ রানে ফেরা সাকিব ২ রানের জন্য রান সংগ্রাহক হিসেবে শীর্ষস্থান ফিরতে পারেননি। শীর্ষে থাকা রোহিত শর্মা চলতি বিশ্বকাপে করেছেন ৫৪৪ রান। অপরদিকে সাকিবের সংগ্রহ এখন ৫৪২।

সাকিবের বিদায়ের পর সাব্বির-সাইফুদ্দিন জুটিতে খেলায় অনেকটা প্রতিযোগিতায় ফিরে বাংলাদেশ। এই দুজন ৬৬ রানের জুটি গড়ে ফের আশা জাগাতে থাকে বাংলাদেশের। তবে দলীয় ২৪৫ রানে সাব্বির আউট হয়ে গেলে ফের সেই আশা ক্ষীণ হয়ে আসে। পরে যেটুকু আশা ছিল সাইফুদ্দিনকে ঘিরে। ৩৭ বল থেকে হাফসেঞ্চুরি করে আশা বাঁচিয়েও রেখেছিলেন। তবে অপরপ্রান্ত থেকে মাশরাফি ও রুবেলের বিদায়ে সাইফুদ্দিনও সঙ্গীহীন হয়ে পড়েন। রুবেল ফিরে গেলে পরের বলেই মুস্তাফিজকে বোল্ড করেন জাসপ্রিত বুমরা। তাই দুই ওভার বাকি থাকতেই ২৮৬ রানে থামতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

মঙ্গলবার এডবাস্টনে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩১৪ রান করে ভারত। ফিল্ডিংয়ে নেমে ১৮ রানেই রোহিতকে ফেরানোর সুযোগ পায় টাইগাররা। সেই সুযোগই মিস করেছেন তামিম ইকবাল। মুস্তাফিজের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে সহজ ক্যাচ মিস করেন তিনি। জীবন পেয়েই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন রোহিত। তুলে নেন সেঞ্চুরিও। শেষ পর্যন্ত দলীয় ১৮১ রানে সৌম্য সরকার ভাঙেন ওপেনিং জুটি। আউট হওয়ার আগে ৯২ বল থেকে ১০৪ রান করেন রোহিত।

রোহিত শর্মার পর আউট হন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল। দলীয় ১৯৫ রানে রুবেল হোসেনের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৯২ বল থেকে ৭৭ রান করেন তিনি। এরপর ৩৯তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ২৩৭ রানে বিরাট কোহলিকে (২৬) রুবেলের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। ওভারের দ্বিতীয় বলে কোহলি আউট হন। একই ওভারের চতুর্থ বলে শূন্য রানেই ফিরেন হার্দিক পান্ডে।

পরপর দুই উইকেট হারানোর পরও ঋষভ পান্তের ব্যাটে ঝড় চলছিল। শেষ পর্যন্ত দলীয় ২৭৭ রানে ৪১ বল থেকে ৪৮ রান করে সাকিবের প্রথম শিকারে পরিণত হন পান্ত। এরপর ৪৮তম ওভারে দলীয় ২৯৮ রানে দিনেশ কার্তিককে ফেরান মুস্তাফিজ। শেষ ওভারে দলীয় ৩১১ রানে ৩৩ বল থেকে ৩৫ রান করে মুস্তাফিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন ধোনি। পরে ভুবনেশ্বর কুমার রান আউট হন দলীয় ৩১৪ রানে। ইনিংসের শেষ বলে মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে যান সামি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত