শেষ কবে এমন একের পর এক জয়হীন ম্যাচ কেটেছে ব্রাজিলের সেটা খুঁজতে আতশি কাচের শরণাপন্ন হতে হবে হয়ত, তবে বাস্তবতা হলো এই সময়ে জয়ের দেখা মিলছে না পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ব্রাজিল জয় যেন ভুলেই গেছে। ওই টুর্নামেন্টের পর টানা চার ম্যাচ জয়হীন অবস্থায় কেটেছে সেলেসাওদের।

সিঙ্গাপুরের জাতীয় স্টেডিয়ামে রোববার নাইজেরিয়ার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। এরআগে গত সপ্তাহে একই ফল হয়েছিল আরেক আফ্রিকান দেশ সেনেগালের বিপক্ষে। তারও আগে সেপ্টেম্বরে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করার পর পেরুর কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ব্রাজিল।

নাইজেরিয়ার বিপক্ষে মাঠে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল তিতের দল, কিন্তু গোল আদায় করতে পারছিল না। বিশেষত নাইজেরিয়ার গোলরক্ষক ফ্রান্সিস যেন হয়ে উঠলেন চীনের প্রাচীর। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে সমতা টেনে শেষটা ভালো করার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল তিতের শিষ্যরা; কিন্তু সুযোগ নষ্টের ভিড়ে শেষ পর্যন্ত ড্র করেই ফিরতে হয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।

ব্রাজিল এগিয়ে যেতে পারতো শুরুতেই। একটুর জন্য শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রবের্ত ফিরমিনো। দুই মিনিট পর ডি-বক্সে বাঁ দিক থেকে ভিক্টর ওসিমহেনের শট ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন ব্রাজিল গোলরক্ষক এদেরসন।

কিছুক্ষণ পর বড় এক ধাক্কা খায় ব্রাজিল। বেশ কিছুক্ষণ ধরে হ্যামস্ট্রিং সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় নেইমারকে। দ্বাদশ মিনিটে তাকে তুলে ফিলিপে কৌতিনিয়োকে নামান কোচ।

২৮ ও ৩০তম মিনিটে আরও দুটি ভালো সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল; কিন্তু সাফল্য মেলেনি। গাব্রিয়েল জেসুসের হেড পাঞ্চ করে ফেরানোর পর ফিরমিনোর শট রুখে দেন নাইজেরিয়া গোলরক্ষক ফ্রান্সিস।

৩৫তম মিনিটে ডান দিক থেকে ওঠা গোছানো এক আক্রমণে এগিয়ে যায় নাইজেরিয়া। সতীর্থের পাস ডি-বক্সে পেয়ে একজনকে কাটিয়ে ছোট ডি-বক্সের মুখ থেকে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন মিডফিল্ডার জো আরিবো।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে সমতায় ফেরে ব্রাজিল। মার্কিনিয়োসের জোরালো হেড ক্রসবারে বাধা পাওয়ার পর ফিরতি বল পেয়ে জালে পাঠান রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার কাসেমিরো।

৫৬তম মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার জেসুসের আরেকটি হেড রুখে দেন ফ্রান্সিস। চার মিনিট ছোট ডি-বক্সের মুখ থেকে কাসেমিরোর হেড পোস্টে বাধা পায়। আর শেষ দিকে কৌতিনিয়োর শট গোললাইন থেকে এক ডিফেন্ডার ফিরিয়ে দিলে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলকে।