শাহ শরীফ উদ্দিন

১৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:৫৭

অস্থায়ী ট্রান্সফরমারে স্থায়ী দূর্ভোগ

প্রায় দেড় মাস আগে বিকল হয়ে পড়ে সুবিদবাজার এলাকার ট্রান্সফরমার। জরুরী বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সেখানে বসানো হয় একটি অস্থায়ী ট্রান্সফরমার। এর পর দেড় মাস পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনো সেখানে রয়ে গেছে সেই অস্থায়ী ট্রাান্সফরমার।
 
সড়কের ঠিক পাশেই ভ্যনগাড়ির উপর বসানোর এই ট্রান্সফরমার ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে এই সড়ক দিয়ে চলাচল। ওই ট্রান্সফরমারের কাছেই ব্লু বার্ড স্কুল। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাওয়া আসা করে এই স্কুলের অসংখ্য শিক্ষার্থী। ফলে ঝুঁকির মাত্রা আরো বেড়েছে। অস্থায়ী এই ট্রান্সফরমার এলাকাবাসীর স্থায়ী দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কেবল সুবিদবাজারই নয়, খাসদবির ও পূর্বশাহী ঈদগায়ও রয়েছে এরকম দুটি অস্থায়ী টান্সফরমার। মাটি থেকে সামান্য উঁচুতে বসানো এসব ট্রান্সফরমারের কারণে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এলাকাবাসী। যদিও পূর্ব শাহী ঈদগাহ এলাকার ঝুঁকিপূর্ণভাবে অস্থায়ী টান্সফরমার বসানোর বিষয়টি ভুলেই গেছে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ বোর্ড, সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী রতন কুমার বিশ্বাস বলেন, নগরীর ভিতরে অস্থায়ী ট্রান্সফরমারের সংখ্যা হচ্ছে মোট ২টি। সুবিদ বাজার ও খাসদবিরে বসানো এই দুইটি ট্রান্সফরমারই বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর আওতাধীন।

পূর্ব শাহী ঈদগাহ'র অস্থায়ী ট্রান্সফরমারের ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সুবিদবাজারস্থ ছাতক সিমেন্ট কারখানার সামনে রাস্তার ফুটপাতের উপরে একটি, খাসদবী রাস্তার প্রবেশ মুখে রাস্তার এক পাশে একটি অস্থায়ী ট্রান্সফরমার ও শাহী ঈদগাহ টিবি হাসপাতাল গেটের খেলার মাঠের বিপরীতে একটি অস্থায়ী ট্রান্সফরমার বসানো রয়েছে। লোহার খাঁচা দিয়ে তালাবন্ধ এসব অস্থায়ী ট্রান্সফরমারের প্রতিটির গায়ে লাল রঙ দিয়ে 'বিপদজনক' লেখা সাইনবোর্ড লাগানো।

এসব ট্রান্সফরমারের পাশ দিয়েই চলাচল করছেন পথচারীরা। ঝুঁকি নিয়ে স্কুলগামী শিশুরাও ট্রান্সফরমারের পাশ দিয়ে চলাচল করে।

বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নং- ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির এবং বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নং-২ এর নির্বাহী প্রকৗশলী পারভেজ আহমেদ পূর্ব শাহী ঈদগাহ'র টিবি গেট এলাকার অস্থায়ী ট্রান্সফরমার রয়েছে বলেও জানালেও এটি তাদের আওতাধীন এলাকায় নয় বলে জানিয়েছেন।

পূর্ব শাহী ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দা ইমতিয়াজ আহমদ বলেন, বেশ কয়েক মাস আগে ট্রান্সফরমারটি হঠাৎ করে নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর এখানে একটি অস্থায়ী ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছে। এর পর আর কেউ কোন খোঁজ রাখেনি। এর পাশ দিয়ে চলাচল করাটাও অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে স্কুলগামী অনেক বাচ্চা অনেক সময় এটাতে হাতও দেয়। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নং- ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির বলেন, খাসদবীর এলাকার এই ট্রানফরমারটি দুই এক দিনের মধ্যে সংস্কার করে পুনস্থাপন করা হবে। তবে সুবিদবাজারের এটি আপাতত সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, এরকম কোন স্থায়ী ট্রান্সফরমার বিকল হলে জরুরী প্রয়োজনে অস্থায়ী ট্রান্সফরমার দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যেই সেখানে স্থায়ী ট্রান্সফরমার বসানো হয়।

স্থায়ী ট্রান্সফরমার পূনস্থাপনের বিষয়ে সিলেটের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী রতন কুমার বিশ্বাস বলেন, এসব কাজ সময় সাপেক্ষ। কাজের ক্ষেত্রে একটি সিরিয়াল থাকে। যেটি আগে নষ্ট হয়েছে সেটি আগে মেরামত করা হয়। সিরিয়াল অনুযায়ী সবগুলোরই কাজ হবে বলে জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত