ছাতক প্রতিনিধি

১২ মার্চ, ২০১৯ ১৭:২৯

ফেসবুকে ভিডিও পোষ্ট করাকে কেন্দ্র করে ছাতকে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও পোষ্ট করাকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের ছাতকে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে।  গুরুতর আহত ১৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।

সোমবার (১১মার্চ) রাতে উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের খাসগাঁও বাজার এলাকায় কালীপুর ও খাসগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ইউনিয়নের নির্বাচিত দুই ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে এ সংঘর্ষ ঘটেছে বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে খাসগাঁও বাজারে কালীপুর গ্রামের নূর উদ্দিনের পুত্র ইউপি সদস্য আজিজুল হক শান্ত ও খাসগাঁও গ্রামের মাফিজ আলীর পুত্রের মধ্যে ইউপি সদস্য করম আলীর উপস্থিতিতে ভিন্ন একটি ঘটনা নিয়ে সালিশ-বৈঠক চলছিল। ওইসময় সালিশ-বৈঠকের ধারনকৃত একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কে বা কারা পোষ্ট করে দেয়। সালিশ-বৈঠক শেষে ভিডিও চিত্র ফেইসবুকে পোষ্ট করার বিষয়ে ইউপি সদস্য আজিজুল হক শান্তর আত্মীয় রুহুল আমিনকে দায়ী করে ইউপি সদস্য করম আলী পক্ষের লোকজন।

এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও হাতা-হাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দু’ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে কালীপুর ও খাসগাঁও গ্রামবাসী তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে লাঠি-সোটা, দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল ব্যবহার করা হয়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে আহত হয় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি ।

গুরুতর আহতরা হলেন জুয়েল মিয়া(২০), ছালেক উদ্দিন(৬০), সাবুল মিয়া(৪০), কলমধর আলী(৫৮), ময়না মিয়া(৫০), আব্দুল হালিম(৬৫), শ্যামল চন্দ(২৫), আমিনুল ইসলাম(৩০), ফেদৌস(২৮), আদম আলী(২৫), পারভেজ(১৫), নুর উদ্দিন(৫০), সাইদ মিয়া(৬৫), মহর আলী(২৬), ফজর আলী(৫৫) । তাদের সবাইকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

অপর দিকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুজরুল হক ও একই গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার পুত্র সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন পক্ষদ্বয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী দফায়-দফায় সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৪০ ব্যক্তি আহত হয়।

এ ঘটনায় গুরুর আহত ১ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের ছাতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করেছেন। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত