সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ মার্চ, ২০১৯ ১৮:২৯

শাহ আরফিন টিলায় আবারও শ্রমিক নিহত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে শাহ আরফিন টিলায় আবারও শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন আরও দুই শ্রমিক।

বৃহস্পতিবার (২১মার্চ) সকাল ১১টায় শাহ আরফিন টিলায় চিকাডর নারায়নপুর এলাকার গর্তে পাথর তুলতে গিয়ে গর্ত ধসে আবু সাঈদ (৩৫) নামের এক শ্রমিক নিহত হন।

নিহত আবু সাঈদ কোম্পানীগঞ্জের ছনবাড়ি গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার রতনপুর (বাগানবাড়ি) গ্রামের মুহিবুর রহমানের ছেলে ফখর উদ্দিন (৩২) ও জগন্নাথপুর উপজেলার তেলিকোণা গ্রামের নুরুল হকের ছেলে ইমাম হোসেন (২৫)।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শাহ আরফিন টিলায় চিকাডর নারায়নপুর এলাকার আইয়ুব আলী, সোহরাব আলী, আলী নুর, ইব্রাহীম আলী ও ঈসমাইল আলীর যৌথ মালিকানাধীন গর্তে দীর্ঘদিন যাবত অধিক পারিশ্রমিকের চুক্তিতে পাথর শ্রমিকরা কাজ করছেন। এই পাথর উত্তলন নিয়ন্ত্রন করছে আইয়ুব আলী গং।

প্রত্যক্ষদশীরা জানান, প্রতিদিনই বিভিন্ন গর্ত থেকে পাথর তোলে শ্রমিকরা। রাতে জেনারেটর দিয়ে আলো জ্বালিয়ে পাথর তোলা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে পাথর উত্তোলন করার সময় গর্তের পাড় ধসে এক শ্রমিক নিচে পড়ে মারা যান। খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ শাহ আরেফিন টিলা থেকে সোনাই মিয়া নামের এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। পাথর উত্তোলনের সময় গর্তের পাড় ধসে নিচে পড়ে তিনি মারা যান।

তিনি বলেন, কার কোয়ারিতে এ ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে পুলিশ কয়েকজনের নাম পেয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৪ নভেম্বর শাহ আরেফিন টিলায় গর্ত ধসে খায়ের গাঁও গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে ইব্রাহিম মিয়া আহত হন। এ সময় এক শ্রমিক নিহত হন বলে স্থানীয়রা দাবি করলেও সেই শ্রমিকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। গত ১ নভেম্বর আরেক গর্ত ধসে উপজেলার বটেরতল গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া নিহত হন। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গর্তের মালিক দেলোয়ার চৌধুরী, মামুন চৌধুরী এবং হাসনু চৌধুরীর নামে মামলা দায়ের করলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত