সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ মে, ২০১৮ ২২:৩০

তাসফিয়া হত্যা: ‘প্রেমিক’ আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদ বৃহস্পতিবার

স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন (১৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামি তাসফিয়ার ‘কথিত প্রেমিক’ আদনান মির্জাকে বৃহস্পতিবার (১০ মে) জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কর্ণফুলী জোন) মো. জাহেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল আজম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপ পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ঢাকার গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কের উপস্থিতিতে আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ মে) আদনান মির্জাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান বুধবার (৬ মে) রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে, বুধবার (৬ মে) আদনানকে পঞ্চম মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরীর আদালতে হাজির করলে আদালত তার বয়স বিবেচনায় গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার (০২ মে) সকালে স্থানীয়দের খবরে নগরের পতেঙ্গার ১৮ নম্বর ব্রিজঘাট পাথরের ওপর থেকে সানসাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসফিয়া আমিনের (১৬) মরদেহ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ।

সেই রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত আদনানকে নগরীর খুলশী এলাকা থেকে আটক করে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (০৩ মে) তাসফিয়ার বাবা বাদী হয়ে আটক আদনান মির্জাকে প্রধান আসামি করে পতেঙ্গা থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যসব আসামীরা হলেন- সৈকত মিরাজ, আশিক মিজান, ইমতিয়াজ সুলতান ইকরাম, মো. মোহাইন ও মো. ফিরোজ। মামলা দায়েরের পর গত ছয় দিনে পুলিশ এই ৫ আসামির একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কর্ণফুলী জোন) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। তাদের মোবাইলগুলো বন্ধ। মোবাইল ট্র্যাক করে এগুতে হচ্ছে। তাই হয়তো একটু সময় লাগছে। এগুলোর পাশাপাশি আরও যে বিষয়গুলো আছে,  সবগুলো যাচাই-বাছাই করে এগোতে হচ্ছে।’

জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের স্পর্শকাতর মামলার ক্ষেত্রে একটু সময় লাগে। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখনও উন্মোচিত হয়নি। সেখানে এ ঘটনায় তো মাত্র ছয়দিন পার হলো। তবে আমাদের এত বেশি সময় লাগবে না। আমরা আশা করছি ৮/১০ দিনের মধ্যে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।’

নিহত তাসফিয়া আমিনের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফের ডেইল পাড়া এলাকায়। তার পরিবার নগরীর ওআর নিজাম আবাসিক এলাকার তিন নম্বর সড়কের কে আর এস ভবনে থাকে।

আটক আদনান মির্জা বাংলাদেশ ‍এলিমেন্টারি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। সে ব্যবসায়ী ইস্কান্দার মির্জার ছেলে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত