বদরুল হোসেন, স্কটল্যান্ড থেকে

১৫ আগস্ট, ২০১৬ ১২:৪৯

এডিনবরা উৎসবে সৌধ নিয়ে আসছেন কায়সার

সৌধ। মূলধারার উপমহাদেশীয় সংগীত ও কবিতা চর্চার প্রতিষ্ঠান। বিদেশ বিভূঁইয়ে শুদ্ধ সংস্কৃতি অনুশীলনের এক কঠিন ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সৌধ। পশ্চিমা দর্শকদের মানসপটে ছড়িয়ে দিচ্ছে কালজয়ী সংগীতের মূর্ছনা। এর সাথে যুক্ত আছেন বাংলাদেশী এক উদ্যমী তরুণ যিনি পড়ালেখা করেছেন প্রকৌশল বিদ্যায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। কাজ করছেন বিলেতের একটি পাবলিক লাইব্রেরীতে।

 কথা হল সৌধের পরিচালক টি এম আহমেদ কায়সারের সাথে। জিজ্ঞেস করলাম সৌধ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট কী ছিল?

কায়সার জানান, পশ্চিমা ধারার ক্লাসিক সংগীতের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন আগে থেকেই। পণ্ডিত রবিশংকর উপমহাদেশীয় মূলধারার সংগীতকে যে নিবিড় চর্চার মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোতে তুলে ধরেন সেই ধারাকে এগিয়ে নিতেই সৌধ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। শুদ্ধ সংগীতের চর্চা আমাদের আত্মার একটি খোরাক। এর মাধ্যমে আপনি নিজেই নিজের সাথে কথা বলতে পারবেন। বিষাদ কিংবা বেদনাকে উপস্থাপনের জন্য মিউজিকের সাথে আমরা কবি হাফিজ, মির্যা গালিব, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কিটস প্রমুখের বেদনার কবিতাও অন্তর্ভুক্ত করেছি যাতে দর্শকদের বুঝতে সুবিধা হয়। পণ্ডিত রবিশংকরের স্ত্রী সুকন্যাজীও আমাদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন।

কথা প্রসঙ্গে কায়সার আরও জানান, এ পর্যন্ত ১৭/১৮ টি শো উপস্থাপন করেছেন লন্ডন, বার্মিংহাম, লিডসসহ বিলেতের বিভিন্ন শহরে। তবে এডিনবরার ফ্রিন্জ ফেস্টিভ্যালে এবারই প্রথম অংশ নিচ্ছেন।

ভারতীয় উপমহাদেশীয় মূলধারার সংগীতকে পশ্চিমাদের মাঝে তুলে ধরার প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে বলতে গিয়ে কায়সার বলেন, তারা দর্শকদের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাচ্ছেন। ভারতীয় ক্লাসিক্যাল মিউজিকের জন্য আমাদের তেমন একটা প্রমোশন করতে হয়না। আমাদের যে ফলোয়ার আছে বিশেষত লন্ডনে সেখানে আমাদের অনুষ্ঠানের নাম শুনলেই তারা আসে।

নিজেদের প্রাপ্তি সম্পর্কে বলতে গিয়ে এই বাঙালী তরুণ জানান এ পর্যন্ত যে পরিমাণ ফলোয়ার তৈরি করতে পেরেছেন এটাই তাদের সেরা প্রাপ্তি। তাদের এই প্রয়াসকে বিলেতের বাইরে ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানালেন কায়সার আহমেদ। ইতিমধ্যেই অস্ট্রিয়া থেকে আমন্ত্রণও পেয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠান সৌধ।

উল্লেখ্য, স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরায় চলছে বছরের সেরা উৎসব ফ্রিন্জ ফেস্টিভ্যাল। চলবে আগামী ২৯শে আগস্ট পর্যন্ত। মেলায় অংশগ্রহণকারী সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একমাত্র সৌধতেই রয়েছে বাংলাদেশী প্রতিনিধিত্ব। এই প্রতিষ্ঠানের সাথে আরও সংশ্লিষ্ট আছেন চন্দ্রা চক্রবর্তী, সনজু সাহা, শাহবাজ হোসেন, কমলবীর নন্দ্র, বালুজী শ্রীবাস্তব, লিসা গাজী এবং এরিক স্কেলেন্ডার।

সৌধের ষ্টেজ শো অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ ও ২১ শে আগস্ট। বিস্তারিত ফ্রিন্জ ফেস্টিভালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত