নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩ ২১:১৭

একুশের নাট্যোৎসব: বীরাঙ্গনার আর্তনাদে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের আওয়াজ...

মহান একুশের চেতনায় নাট্যপ্রদর্শনী'র ষষ্ঠ দিন ছিলো মঙ্গলবার। নাটক ছিলো 'নবশিখা নাট্যদলের" বীরাঙ্গনার বয়ান'। নাটকটি রচনা ছিলেন রওশন জান্নাত রুশনী, এবং নির্দেশনায় খোরশেদুল আলম।

সাল ২০১৩, ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখ, উত্তাল শাহবাগ চত্বর; একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবীতে লক্ষাধিক জনতা সোচ্চার হয়েছে। এমনই একটি সময়ে 'বীরাঙ্গনার কথা' নাটকটি রচিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছানোই নাটকের মূল উপজীব্য। আজকের বাংলাদেশের আকাশ বাতাস যখন আবার আল বদর রাজাকারদের গলায় আওয়াজে ভারি হয়ে উঠে, একটি গোষ্ঠী যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে যখন মরিয়া হয়ে স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করছে। যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবিতে সভা সমাবেশ মিছিল করছে তখন তরুণ প্রজন্মের কাছে সেই যুদ্ধকালীন অবস্থাকে তুলে ধরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার চেতনাকে জাগ্রত করতে সমুন্নত রাখতে নাটকটি মঞ্চে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এভাবেই মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পূর্ণ অবিকৃতভাবে ইতিহাসের প্রতিরূপ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই 'বীরাঙ্গনার বয়ান' মুল উদ্দেশ্য।

নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন প্রিয়াংকা চক্রবর্তী, সিতি চক্রবর্তী, মৃন্ময়ী দে ধৃতি।

আলোক পরিকল্পনা ও প্রক্ষেপণে- বদরুল আলম, রূপসজ্জা- সুমন রায়, পোশাক পরিকল্পনায় - শাহ শরিফ উদ্দীন, ছাদিকুর রহমান হৃদয়, আবহ সংগীত প্রক্ষেপণে- ধ্রুবজ্যাতি দে।

নাটক শেষে নাট্যদলকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাবেক সহ-সভাপতি খোয়াজ রহিম সবুজ ও নির্বাহী সদস্য ফারজানা সুমি।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একুশের আলোকে নাট্য প্রদর্শনী শুরু হয়। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটায় কবি নজরুল অডিটোরিয়াম মঞ্চে দর্শক নাটক দেখতে আসেন। আগামী ৪ মার্চ শেষ হবে নাট্য প্রদর্শনী।

প্রতিদিনই নাটকের নতুন নতুন দর্শক সৃষ্টি হয়। বিকাল সাড়ে পাঁচটায় অডিটোরিয়াম হল কাউন্টার থেকে নাটকের প্রবেশপত্র নাট্যামোদী দর্শক সংগ্রহ করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত