০৩ মার্চ, ২০২৩ ২১:৩৯
সম্মিলিত নাট্যপরিষদ সিলেট আয়োজিত একুশের আলোকে দশ দিনব্যাপী নাট্য প্রদর্শনী শনিবার (৪ মার্চ) শেষ হচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নবম দিনে মঞ্চায়ন হয় দিগন্ত থিয়েটার সিলেট-এর পরিবেশনায় নাটক ‘পেজগি’।
মঞ্চ নাটকের অস্তিত্ব ছিলো মানব সভ্যতার প্রত্যুষকালেও। কারণ গল্প বলার একটি স্বাভাবিক প্রকৃতিগত প্রবণতা ছিলো প্রতিটি মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। সূচনাকাল থেকেই মঞ্চ নাটক অনেক রূপ ও পরিচয় ধারণ করেছে। প্রয়োগ করেছে অনেক রকম কথা, দেহভঙ্গিমা, নাচ, গান, নৃত্য, দৃশ্য বা ঘটনা। দৃশ্যগ্রাহ্যকলাসহ অন্যান্য পারফর্মিং আর্টগুলোকে মঞ্চনাটক একত্র করেছে।
সমাজের বিভিন্ন অসংগতি বিভিন্ন দৃশ্যপটে তুলে ধরা যায় নাটকে অবলীলায়। এই নাটক শুধু প্রতিবাদের ভাষা বা সমাজের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরার মাধ্যমেই নয় বরং সমাজে বিশেষ করে যান্ত্রিক নগর জীবনে বিনোদনেরও এক অনবদ্য মাধ্যম। এই ইট পাথরের শহরে যখন আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি তখন নাটকই হয়ে উঠে আমাদের বিনোদনের কেন্দ্র। এই চিন্তা চেতনা থেকেই শিক্ষনীয় বার্তাসহ এক বিনোদনমূলক নাটক ‘পেজগি’।
নাটকটিতে অভিনয় করেন দিবাকর সরকার শেখর, সাইফুর রহমান সুমন, মাহমুদ-উস-সামাদ মারুফ, দুর্জয় পুরকায়স্থ, কামরুন নাহার আনসারী (শাওন), পিংকি রোজারিও রোজ, অজয় চক্রবর্তী। নেপথ্যে ছিলেন মঞ্চপরিকল্পনায় দিবাকর সরকার শেখর, পোশাক পরিকল্পনায় নিখিলেশ দাস, আলোক পরিকল্পনায় চম্পক সরকার, প্রক্ষেপণে বদরুল আলম, শব্দ নিয়ন্ত্রণে সৃজিত চক্রবর্তী, আহমদ হোসাইন চৌধুরী মারজান ও প্রযোজনা অধিকর্তা মো. আজিজুর রহমান।
নাটক শেষে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং উত্তরীয় প্রদান করেন নাট্যজন আমিরুল ইসলাম বাবু এবং নাট্যজন ও নাট্য পরিষদের সাবেক সভাপতি নিরঞ্জন দে, জনতা ব্যাংকের ডিজিএম শাহদাৎ হোসেন সরকার।
শনিবারের নাটক- দর্পণ থিয়েটার সিলেট পরিবেশনায় ‘মিআ কলপা’।
রচনা : নাহিদ পারভেজ বাবু
নির্দেশনা: নিরঞ্জন দে।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উজ্জ্বল দাস ও সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত এক বিবৃতিতে দশদিন ব্যাপী নাট্য প্রদর্শনীর সমাপনী আয়োজন বিকাল পাঁচটায় কবি নজরুল অডিটোরিয়াম মুক্তমঞ্চে সবার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আপনার মন্তব্য