১৩ জুলাই, ২০২৪ ১৮:৩৯
যাপিত জীবনে নাগরিক ক্লান্তির মধ্যে আষাঢ় আসে। শহরের অলিগলি তে বৃষ্টির পরশ নাগরিক জীবনে কিছুটা শান্তির পরশ দেয়।কোলাহল পূর্ণ এই সময়ে শুক্রবার ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বাংলা আমারের সহযোগিতায় আয়োজন করা হয় আবৃত্তি ও গানের যুগল সম্মিলন "বহে নিরন্তর অনন্ত আনন্দ ধারা "। এতে আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করেন নন্দিত আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠক সুকান্ত গুপ্ত এবং সংগীতশিল্পী ও শিক্ষক সামিয়া আহসান।
আবৃত্তিশিল্পী মাসকুরে সাত্তার কল্লোলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা আমার এর সভাপতি মেহেদী হাসান আকাশ। উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
আষাঢ়ের রক্তিম গোধূলি বেলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ হতে আবৃত্তির মাধ্যমে আয়োজন শুরু হয়। বর্ষার দিনে কবিতা আর গানের যুগল সম্মিলনে আষাঢ়ের মেঘময় সন্ধ্যায় বর্ষার স্নিগ্ধতা ছড়ায়।শিল্পীবৃন্দ একে একে পরিবেশন করেন পঞ্চকবি এবং সমসাময়িক কবিদের আবৃত্তি ও গান।
হলভর্তি শ্রোতাদের পিনপতন নীরবতায় নন্দিত আবৃত্তিশিল্পী সুকান্ত গুপ্ত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ, প্রশ্ন, মনে থাকবে,সন্ধ্যা ও প্রভাত, বিদায়, বনলতা সেন, বিদায় বেলায়, এ কেমন ভ্রান্তি আমার, অনন্তপ্রেম সহ আরো বেশকিছু কবিতার আবৃত্তি।
সংগীতশিল্পী সামিয়া আহসান পরিবেশন করেন আপনারে দিয়ে রচিলি রে কি, জগতে আনন্দযজ্ঞে, সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে, দেখ মা এবার দুয়ার খুলে, জানি জানি কোন আদিকাল হতে সহ আরো বেশ কিছু পঞ্চকবির গান। শিল্পীবৃন্দের আবৃত্তি ও গানের যুগল সম্মিলনে পর পর পরিবেশনা সকলকে মুগ্ধ করে। যন্ত্রসংগীত অনুষঙ্গে ছিলেন অসিত বিশ্বাস,দেবা পাল,রবীন্দ্রনাথ পাল।
আবৃত্তি আর গানের যুগল সম্মিলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত গুণীজন বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী এবং সংগঠক আহকাম উল্লাহ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনামুল হাবিব প্রমুখ।
আপনার মন্তব্য